ইতিহাসের প্রাক্তন শিক্ষক জানান মন্দির অত্যন্ত প্রাচীণ রীতির পরিবর্তন করা হয়েছে এবছর।বরাবরই এই মন্দিরে মা করুনাময়ীকে অমিষ ভোগ দেওয়া হত।আর কালী পূজার রাতে বিশেষ ভাবে মায়ের জন্য অমিষ রান্না হত নানা পদের।তাতে মাছ ,মাংস ইত্যাদি থাকত।হাজার হাজার ভক্তের সমাবেশ হয় এই মন্দিরে প্রতি বছর কালী পূজার রাতে। ভক্তরা তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য ছাগল দান করতেন বলির জন্য।এই মন্দিরে মা করুনাময়ী সারা বছর থাকেন মন্দিরে দ্বিতীয় তলে। কালী পূজা আর ২৫শে ডিসেম্বর মেলার দিন মা দ্বিতীয় তল থেকে নেমে আসেন।আর কালী পূজার রাতে মায়ের সামনে বলি হয় একের পর এক ছাগল।এবার সেই রীতি বন্ধ করা হয়েছে তারকেশ্বর মন্দিরের মহন্তের নির্দেশ। করুনাময়ী মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক অর্ধেন্দু বিশ্বাস এই দিন বলেন তারকেশ্বর মন্দিরের মহন্ত তাঁদের মন্দিরের মহন্ত।তাই তার নির্দেশেই মাকে আমিষ ভোগ দেওয়া ও বলী প্রথা তাঁরা বন্ধ করেছেন।
advertisement
তিনি আরও জানান মা করুনাময়ীকে ১৫৬১ সালের দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধের পর আকবরের সেনাপতি মানসিং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।দেবী যশোরেশ্বরী কে আম্বর ফোর্টে প্রতিষ্ঠার সময় স্বপ্নাদেশ পান মানসিং এই আমডাঙ্গায় মা করুনাময়ীকে প্রতিষ্ঠার। তাঁর সেই স্বপ্নে দেখা মূর্তিই হলেন মা করুনায়ী, দাবী অর্ধেন্দু বিশ্বাসের।আর আকবরের সেনাপতি মানসিং এর তৈরি করে দেওয়া মূ্র্তিও, দাবী তাঁর।করোনা
অতিমারির কারণে এ বছর ভীড় নিয়ন্ত্রণ ও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।তার দাবী ৩০ জন করে প্রতি ব্যাচে ভক্ত মায়ের কাছে এসে নিজের পূজা দিয়ে যেতে পারবেন এবার।সন্ধ্যায় দ্বিতল থেকে নামানোর আগে বারান্দায় মাকে বসিয়ে,মায়ের সামনে আঁখ, চাল কুমড়ো, কলা বলি করা হয়।তার পর মায়ের এস্টেট তাঁকে ঘুরিয়ে দেখানো হয়।তারপরই নিয়ে আসা হয় মাকে নাটমন্দিরে।সেখানেই চলে রাত ভোর মায়ে পূজা।