অতীতের সাক্ষ্য বয়ে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ও ওড়িশা সীমানা সংলগ্ন দাঁতনের মন্দিরবাজার এলাকায় অবস্থিত শ্যামলেশ্বর মন্দিরে। উঁচু ভিত্তিবেদির ওপর মন্দিরটি অবস্থিত। আনুমানিক হাজার বছরের আগে নির্মিত হয়েছিল বলেই গবেষকদের দাবি। মন্দিরের স্থাপত্যটি বেশ আকর্ষণীয়। প্যাগোডার আদলের ছোঁয়া আছে। মন্দিরটির আদলে প্রাচীনত্বের নানা ছাপ। প্রবেশপথের সামনে কষ্টিপাথরে নির্মিত বৃষভ মূর্তিটি ভাস্কর্যের দিক থেকে মূল্যবান। তৎকালীন সময়ে ওড়িশা রাজ্যের অধীনে ছিল বাংলার দাঁতন। তাই মন্দিরের গঠনরীতিতে রয়েছে উৎকল রীতি।
advertisement
বিশাল আকার জায়গা জুড়ে থাকা সহস্র বছরের পুরনো এই মন্দির। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপি না থাকায়, মন্দির প্রতিষ্ঠা কে করেছিলেন, তা সঠিক জানা যায় না। জানা যায় না প্রতিষ্ঠার সময়কালও। গবেষকদের দাবি সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। অন্যদের অভিমত, ওড়িশার সূর্যবংশীয় নৃপতি গজপতি মুকুন্দদেব (শাসনকাল ১৫৫৯ – ১৫৬৮) ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের চারপাশ মাকড়া পাথরের প্রায় দশ ফুটের উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ভেতরের অঙ্গনটির আয়তন ১৩,৮৮৩ বর্গফুট। তার ভিতর ফুট চারেক উঁচু ভিত্তির উপর মন্দিরটি স্থাপিত। ওড়িশী পীর-রীতির আদলে তৈরি মন্দির।
আরও পড়ুন : দত্তক নিল ৫ বছরের শিশুকন্যা! কাকে? তার পালিত সন্তানের কথা জানলে চমকে যাবেন
মন্দিরের অলঙ্করণ হিসাবে দেখা যায় মূল প্রবেশপথের সামনে একটি নন্দীমূর্তি। মন্দিরের উত্তরদিকে পাথরে খোদিত একটি মকরমূর্তি আছে। সামনের দ্বারপথের মাথায় ভগবান বিষ্ণুর অনন্তশয্যা ফলক আছে। স্বাভাবিকভাবে মন্দিরের দেওয়ালে অলংকারণএবং গঠন রীতি অবাক করবে। গবেষকদের অন্যতম গবেষণার বিষয় এই মন্দির।