মৃতের নাম গোরাচাঁদ দত্ত। বয়স আশি বছর।তিনি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বর্ধমানের তেজগঞ্জে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থাকতেন। স্ত্রী আজ বোনের বাড়ি বেড়াতে যান।সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধ। বোনের বাড়ি থেকে বিকেল চারটে নাগাদ তিনি ফিরে আসেন। বাড়িতে ঢোকার মুখে হলুদ গেঞ্জি পরা মাঝবয়সী এক ব্যক্তিকে দেখতে পান। তিনি কে,কেন এসেছেন জানতে চান গোরাচাঁদবাবুর স্ত্রী মীরা দেবী। তখন সেই ব্যক্তি জানায়, কী হয়েছে ভেতরে গিয়ে দেখুন। মীরা দেবী ঘরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছে স্বামীর দেহ। সব আলমারি তছনছ। চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তাঁর চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তখন কিন্তু আর হলুদ গেঞ্জির মাঝবয়সী ওই ব্যক্তিকে দেখা যায়নি। সেই ব্যক্তি কে? সেও এই ঘটনায় জড়িত কিনা তদন্ত করছে পুলিশ।
advertisement
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, দম্পতির পরিচিত কেউই এই খুনের সঙ্গে জড়িত। কারণ, বাড়ির দরজায় তালা দেওয়া থাকতো। অপরিচিত কাউকেই বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দিতেন না ওই বৃদ্ধ। তাঁরা বলছেন, পরিচিত জন দেখেই তাকে ভেতরে ঢুকতে দেন বৃদ্ধ। সেই পরিচিত ব্যক্তি এই খুন করে। তার পেছন পেছন একাধিক দুষ্কৃতিও ঢুকে থাকতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই বৃদ্ধকে খুন করার পাশাপাশি আলমারি লন্ডভন্ড করা হয়েছে। তাই নিছক চুরির জন্য খুন নাকি বিশেষ কোনও কাগজের খোঁজে এসেছিল দুষ্কৃতীরা সবই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে। দিনের আলোয় এমন খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলের ছবি তোলা হয়। রাতে কুকুর এনে তদন্ত চালায় পুলিশ।
SARADINDU GHOSH