বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর পান্ডবেশ্বর শ্যামলা এলাকায় অজয় নদীর চরে বালির মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল অঙ্গাত পরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে।
মৃতদেহের হাতের উল্কি দেখে সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর শনাক্ত করেছে মৃতদেহ । মৃত যুবক স্থানীয় একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করত। শুক্রবার সঞ্জয়ের দাদা সঞ্জিত বাউরি পান্ডবেশ্বর থানার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
advertisement
সঞ্জিতের অভিযোগ সঞ্জয়ের স্ত্রী ও তার প্রেমিক খুন করেছে তার ভাইকে। আরও অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়ের স্ত্রী সাধনার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বীরভূমের ভবানীগঞ্জের সূরজের । সাধনা সূরজকে মাসির ছেলে বলে পরিচয় দিত। মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিন আগে থেকে নিখোঁজ ছিল সঞ্জয় বাউরি।
পুলিশি জেরায় জানা গেছে ঘটনার দিনসূরজ ও সঞ্জয় বাড়িতেই একসঙ্গে মদ্যপান করে। এরপর সঞ্জয়ের স্ত্রী সাধনা ও সূরজ দু'জনে মিলে সঞ্জয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সঞ্জয়ের মাথার পিছনের দিকে একটি গুলি করে সূরজের এক সহযোগী। এরপর চাদরে মুড়ে বাইকে করে অজয় নদের চরে পুঁতে দেয় সূরজ ও তার সহযোগী । এই কাজে সহযোগিতা করেছে যে দুই যুবক, তাদের মধ্যে রবি পাসোয়ান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও একজনের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও উদ্ধার হয়নি বাইক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি।
ধৃত তিন জনকে আজ তোলা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। ধৃত তিন জনকেই নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছে পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।