তবে এই হাটের মধ্যে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে ভিন্ন ছবি। অল্প সংখ্যক ৩৫ থেকে ৪০ টি স্টল। স্টলে বিক্রেতার ভূমিকায় শিল্পীরা। হাটের মধ্যেই নানা জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। এই মেলার মূল লক্ষ্য হল পরিবেশে রক্ষার বার্তা। বিশাল বট বক্ষের নিচে সবুজের মাঝে নির্জন নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে হাট। প্রায় সম্পূর্ণ প্লাস্টিক থার্মোকল মুক্ত এই হাট।
advertisement
উলুবেড়িয়া মহিষ রেখা ব্রিজ সংলগ্ন দামোদর নদীর পূর্বপাড়ে পরিবেশবান্ধব হাট। এই হাটে হাতের তৈরি নানা জিনিসের সম্ভার। ক্ষুদ্র উদ্যোগী ব্যবসায়ীরাও স্টল দিয়েছেন এই পরিবেশ বান্ধব হাটে। বেশ কিছু মহিলা ঘরোয়া খাবারের স্টল দিয়েছেন। ফুচকা পকোড়া ঘুগনি পিঠে চা-সহ নানা জিনিস রয়েছে। সেই সমস্ত জিনিস পরিবেশনের পাত্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব জিনিস।
যেমন কাগজ বা গাছের পাতা। বর্তমান সময়ে মেলা বলতে থার্মোকল বা প্লাস্টিক ছাড়া এক প্রকার ভাবাই যায়না। কিন্তু এই মেলা গত বছরের পর, এবারও জমে উঠছে। যে কারণে এই হাট দারুন ভাবে মন জয় করেছে সমাজের সচেতন নাগরিকদের। তাই মানুষের উপস্থিতিও বেড়েছে পরিবেশবান্ধব এই হাটে।
মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির পরিবেশবান্ধব হাট। এই হাটে হাতে গোনা কয়েকটি স্টল থাকলেও তবে প্রতিটি স্টল বেশ আকর্ষণীয়। ঘরোয়া আকর্ষণীয় খাবার জিনিস থেকে ঘর সাজানো জিনিসের পসরা রয়েছে এখানে। যা কিছু রয়েছে, প্রায় সবটুকু পরিবেশবান্ধব। বিশাল বট গাছের নিচে খোলা মাঠ সবুজে ঘেরা এলাকায় সারি সারি জিনিসের পসরা। জেলার অন্যান্য হাট বা মেলার থেকে অনেকখানি আলাদা। এই হাট অনেকটা সোনাঝুরি হাটের মত। হাতে তৈরি জিনিসের পসরা বেশি চোখে পড়বে। স্টলে অধিকাংশ শিল্পীরা নিজেরাই উপস্থিত রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির সম্পাদক জয়িতা কুন্ডু জানান, ২০১৬ সাল থেকে পরিবেশ বাঁচাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতির পক্ষ থেকে। এই পিকনিকের শীতের সময় মানেই পিকনিক ও প্রচুর মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
যার ফলে শব্দ দূষণ ও পলিথিন থার্মোকল জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ সবার প্রবণতা প্রচুর থাকে। উলুবেড়িয়া দামোদর নদী পার্শ্ববর্তী এলাকা অঘোষিত পিকনিক স্পট। এখানে প্রতি বছর বহু মানুষ পিকনিকে আসেন। সেই সমস্ত মানুষকে কয়েক বছর ধরে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সচেতনতার দিক গুরুত্ব রেখে গত দুবছর পরিবেশ বান্ধব হাটের আয়োজন।
রাকেশ মাইতি