আসার পর মাঝে মাঝে চটকলে চাকুরে বাবার সঙ্গে গিয়ে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করত। তাতে রোজগার খুবই কম ছিল। স্থানীয় এক ডাকাবুকো নেতার ছত্রছায়ায় গিয়ে, শুরু করে দলবল নিয়ে তোলাবাজি। এলাকাতে সশস্ত্র অবস্থায় সাধারণ দোকানদার ও মানুষদের চমকে টাকা আদায় করা।এই নিয়ে পাল ঘাট রোডের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল অনেক দিন ধরে। অশোক সাউ এর দোকানের সামনে এসে মস্তানি করত আকাশ।গতকাল সন্ধ্যাবেলা প্রথম অশোকের দোকানে এসেছিল টাকা তোলা নিতে।অশোক সেই সময় টাকা দিতে রাজি হয়নি। সেই সময় অশোকের সঙ্গে আকাশের রীতিমত হাতাহাতি হয় । তখন আকাশ ওখান থেকে চলে যায়।ঘণ্টা খানেক বাদে রাত্রি ১০ টা নাগাদ চোদ্দো পনের জনের দল নিয়ে এসে, এলাকায় বোম মারে, শূন্যে গুলি চালাতে থাকে।সেই সময় স্থানীয় লোকজন ঘিরে ফেলে। তারপরেই পুলিশ এসে ওকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময়,মারা যায়।
advertisement
ঘটনার পর থেকে অশোক পালিয়ে যায়। অশোকের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় অশোকের গতকাল রাত থেকে কোনো খোঁজ নেই। এলাকায় পুলিশ রয়েছে।এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।যেখানে মূলত মারামারি হয়েছে, পাশেই একটি বজরং পরিষদের অফিস রয়েছে। পাল ঘর রোডে যারাই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন,তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য,আকাশ ওখানে গিয়ে বজরং দল ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে খুব খারাপ ভাষায় গালাগালি করেছিল। তারই ফল এটাই। এই বিষয়ে মূল আসামী হিসাবে অশোক সাউকে খুঁজছে পুলিশ। এটাকে গ্যাং ওয়ার হিসাবে চালাতে চেয়েছিল সবাই। আকাশকে জনসাধারণ পিটিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করছে অশোকের মা মীরা সাহু। দেবী সাহু, যিনি অশোকের কাকীমা তিনিও গোটা ঘটনা জানান। এখনো একটি বোম অশোকের বাড়ির বিপরীতে টালির চালের ওপরে পড়ে আছে। চার নম্বর গলির কোনো লোকজন মুখ খুলতে চাইছে না। পুলিশের জানিয়েছে তদন্ত চলছে।
SHANKU SANTRA