জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনারা রাস্তায় কেন আছেন?’ উত্তর খুব স্বাভাবিক। ‘এখানে থাকবু নি তো বাবা, কোথায় থাকবো? আমাদের কী আর কোথাও যাওয়ার জায়গা আছে? ভোটের সময় নেতা আসে, এখন কারো মুখ দেখি না!’ পাশে বসে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী রিঙ্কি মন্ডল। বইখাতা গুলো কোন প্রকারে বাঁচিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে রেখে এসেছিল। দু’দিন আগেও ঘরের মধ্যে এক কোমর জল ছিল। চাল ডাল সবই জলে ভেসে গেছে। এখন দিনে দু’বেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না। পড়াশুনা তো শিকেয় উঠেছে। জুলাই মাসে আবার তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে। কিন্তু পড়ার মতো সুযোগ নেই। শুধুই রিঙ্কি নয় লকডাউনে যেমন ভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়েছে। তেমনই পড়ার পাট চুকিয়েছে বহু ছেলেমেয়েরা। তবে না পড়লেও বাড়িতে বইখাতাগুলো ছিল। আমফানের ঝড় এবং জলে তা সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
advertisement
খাবার নেই। বাসস্থান নেই। বই খাতা, পড়াশোনা, অনেক দূরের কথা। এখন কেউ নদীর বাঁধে কেউ রাস্তার উপর, উঁচু জায়গায় জীবনযাপন করছেন। সরকারি প্রচুর জনগণের সাথী প্রকল্প হয়েছে এ রাজ্যে। ১৫ দিনে দুর্গত এলাকার মানুষেরা দেখেছে, সেইসব বিজ্ঞাপনের সাথী প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে ওই গ্রামগুলোতে। নেতারা দিনের পর দিন সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করছে এবং তছরুপ করছে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছিলাম উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে। তিনি বিষয়টিকে এড়িয়ে যাবার ছলে বলেছেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেব।’
SHANKU SANTRA