#কলকাতা: যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। আর যাত্রার শুরুতেই এসে গিয়েছে বিরাট স্বীকৃতি। উলুবেড়িয়ার শুভ্রনীলের মাউথ অর্গানে মুগ্ধ স্বয়ং বিগ বি। চোখে স্বপ্ন অনেক অনেক দূর যাওয়ার। পাড়ি দিতে চায় বলিউডে। দীর্ঘ দিন ধরে বাঙালি সঙ্গীত পরিচালকরা দাপট দেখিয়েছেন আরব সাগরের পাড়ে। শুভ্রনীলও সামিল হতে চায় নামজাদা সুরকারদের দলে। ইতিমধ্যেই একটা দক্ষিণ ভারতের সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে কাজ করা হয়ে গিয়েছে তার। এ বার নিজে স্বাতন্ত্র্য ভাবে সঙ্গীত পরিচালনা করতে চায় শুভ্রনীল।
advertisement
পাঁচ বছর বয়সে পরিচয় মাউথ অর্গানের সঙ্গে। বাবা সুবীর সরকারের কাছে প্রাথমিক সুর, তালের হাতেখড়ি শুভ্রনীলের। ছেলের আগ্রহ দেখে পেশাদারি তালিমের ব্যবস্থা করেন সুবীরবাবু। তারপর থেকেই সর্বক্ষণের সঙ্গী এই বাদ্যযন্ত্র। আসতে আসতে শুভ্রনীলের সুরের মাধুর্য বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে নাম ছড়াতে থাকে উলুবেড়িয়ার নতিবপুরের এই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রের।
প্রথমে হিন্দি সিনেমার গান মাউথ অর্গানে তুলত শুভ্রনীল। তারপর পাশ্চাত্য সঙ্গীত। কলকাতায় একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে এক শিল্পীকে বাঁশিতে শাস্ত্রীয় সংগীত বাজাতে শোনে শুভ্রনীল। সেখান থেকেই আগ্রহ জন্মায় তার। তারপর গত দেড় বছর ধরে তালিম শুরু শাস্ত্রীয় সংগীতের। এর মধ্যেই ২০১৫ সালে গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছে উলুবেড়িয়া হাইস্কুলের এই ছাত্র। একটি বাংলা বিনোদনের চ্যানেলের গানের অনুষ্ঠানে পরপর দু’টি সিজনে মাউথ অর্গান বাজানোর অভিজ্ঞতাও আছে তার।
একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের কাজে তুলে ধরতে শুরু করে শুভ্রনীল। এক বছর আগে করা একটি পোস্ট দেখে সম্প্রতি অমিতাভ বচ্চনের প্রতিক্রিয়া আসে, 'অদ্ভুত'। বিগ বির কাছ থেকে আসা স্বীকৃতি আরও উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে শুভ্রনীল সরকারের। লক্ষ অনেক দুর যাওয়ার। পড়তে চায় সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তারপর পাড়ি জমাতে চায় মুম্বইয়ে। দিতে চায় বলিউডের সিনেমার মিউজিক। তার জন্য শুধুমাত্র মাউথ অর্গান নয়, পিয়ানো, গিটারেও হাত জমাচ্ছে শুভ্রনীল। তবে এখন লক্ষ উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করা। তাই মিউজিকের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও গভীর মনোযোগী শুভ্রনীল।