প্রায় দু’মাস একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটানোর সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় তাকে। এরপর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেও প্রায় কুড়ি দিন কাটাতে হয় বিদেশের মাটিতে। এসময় বাংলাদেশের এক যুবকের মোবাইল থেকে ভিডিও কলে নিজের পরিস্থিতি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা ছড়িয়ে দেন আমির, যা ভাইরাল হয়ে যায় এবং তোলপাড় ফেলে দেয় বিভিন্ন মহলে।
advertisement
অবশেষে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে এদিন বাংলাদেশ থেকে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে ফিরিয়ে আনা হয় আমির শেখকে। বিএসএফ তাঁকে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখে পুলিশ তাঁকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এই সময় মালদা থেকে আমিরের বাবা জিয়াম শেখ, কাকা, দাদা এবং একজন আইনজীবী বসিরহাট থানায় উপস্থিত ছিলেন।
ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত জিয়াম শেখ বলেন, “আমার ছেলে জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক। শুধু বাংলা ভাষা বলার জন্যই তাঁকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।” আমির শেখের এই ফিরে আসা একদিকে পরিবারের জন্য স্বস্তি এনেছে, অন্যদিকে ভাষা ও পরিচয়ের কারণে ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
জুলফিকার মোল্যা