সোমবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। বর্ধমান শহরের খোসবাগানের এক অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ তাঁর নিজস্ব চেম্বারের এই ঘটনা ঘটালেন। ঘটনার পর ডাক্তারের চেম্বারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুর পরিবারের লোকজন। হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় পরিস্থিতি৷ ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেন চিকিৎসক। বাঁ হাতের প্লাস্টার কেটে ডান হাত প্লাস্টার করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
advertisement
শিশুকন্যা পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার লোহাই গ্রামের বাসিন্দা। বাড়িতে পড়ে যায় সে। তার ডান হাতে আঘাত লাগে। শনিবার সেই ঘটনা ঘটে। দু'দিন ধরে যন্ত্রণায় কেঁদেই চলেছিল। যন্ত্রণা না কমায় তাকে সোমবার বর্ধমানে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। বর্ধমানের ডাক্তারপাড়া খোসবাগানে অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার হাতের এক্স রে করিয়ে আনার পরামর্শ দেন। এক্স রেতে দেখা যায় শিশুকন্যার ডান হাতে চিড় ধরেছে। চিকিৎসক শিশুকন্যার পরিবারকে জানান, প্লাস্টার করতে হবে। তাতেই হাত ঠিক হবে পরিস্থিতি৷
আরও পড়ুন করোনার আতঙ্ক, হাসপাতালে মৃত বাবার দেহ আগলে ছেলে, মিলল না অ্যাম্বুলেন্স
এরপর শিশুকন্যাকে নিয়ে চেম্বারে ঢোকেন ডাক্তারবাবু। আত্মীয় পরিজনদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর ডাক্তারবাবু হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন। আনা হয় শিশুকন্যাকে। শিশুকন্যাকে দেখে ঠাকুমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। তিনি বলেন, 'ওকে দেখেই আঁতকে উঠি। দেখি ডান হাতের বদলে বাঁ হাতে প্লাস্টার করেছে ডাক্তার'। এরপরেই চেম্বারের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।চিকিৎসক বলেন, 'ভুল হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক করে দেব'। শিশুকন্যার আত্মীয়দের প্রশ্ন, 'লক ডাউনে ঘরে বসে থেকে কি কাজ ভুলেছেন ডাক্তার। এতো বড় ভুল তিনি করলেন কী করে'!