দু'দিন আগেই পুরসভার বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর। সেই সময়ে তাদের মন্তব্যে অপমানিত বোধ করেছেন তাঁরা, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন কালনার পুর কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। কাজ বন্ধ থাকায় বহু মানুষ পুরসভায় এসে ফিরে যান।
তৃনমূল পরিচালিত ফেডারেশনের কালনা ইউনিটের তরফেও পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ১২ জন কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে বেআইনি ভাবে মিউটেশন, অর্থের বিনিময়ে বাড়ির পরিকল্পনা পাশ, উত্তরাধিকার শংসাপত্র দেওয়ার মত অভিযোগ করা হয়। ১১ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগগুলি করেন কাউন্সিলার সুনীল কুমার চৌধুরী। যতক্ষণ অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ এবং উপপুরপ্রধানকে তপন পোড়েলকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
advertisement
আইএনটিটিইউসির শহর সভাপতি তথা পুর কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা শান্তি সাহার দাবি, '' ১২ জন কাউন্সিলর একত্রিত হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কিছু রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন। তার সঙ্গে পুর কর্মচারীদের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে সেখানে বেশ কিছু অনৈতিক কাজকর্মের সঙ্গে পুরসভার কর্মচারীরা যুক্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আমরা আপমানিত বোধ করেছি।''
ওই দিন কয়েকজন কাউন্সিলর বেশ কিছু অভিযোগের পাশাপাশি পুরপ্রধানের গাড়ি ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। পুরপ্রধানের দাবি, '' পুরসভার কাজে কলকাতা, বর্ধমান-সহ নানা জায়গায় যাতায়াতের জন্য তিনি গাড়ি ব্যবহার করেন। লগবুকই প্রমাণ করে দেবে গাড়ি কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যা বলার দলীয় স্তরে বলেছি। আমার যদি কোনও ভুল, ত্রুটি থাকে দল শুধরে দেবে। আমি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না।''