আরও পড়ুন-চেকআপ না করানোই কি ভুল ছিল কেকে-র? ময়নাতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনা আবহ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। কিন্তু করোনাকালে জীবন বাজি রেখে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু রেখেছিলেন যাঁরা, পুর্ব মেদিনীপুরের সেইসব অ্যাম্বুল্যান্স চালক আজও পাননি তাঁদের প্রাপ্য। অন্য অনেকের মতো খেজুরির হেঁড়িয়ার বাসুদেব মাইতিও তেমনই একজন৷ হেড়িয়ার যুবক বাসুদেব মাইতি বেসরকারি ঋণ প্রদান সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স কিনেছিলেন। সেই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে করোনাকালে খেজুরির ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে কোভিড পেশেন্ট এবং কোভিড আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের দেহ বহন করার কাজ করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওনা হয়েছিল প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা। এক বছরেরও বেশি সময় সেই টাকা না পাওয়ায় আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তাঁর পরিবার। কখনও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, কখনও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে দরবার করছেন। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সিএমএইচকেও জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি অভিযোগকারী অ্যাম্বুলেন্স চালকের। নিজের প্রাপ্য টাকা না পেলে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে জেলাশাসককেও ই-মেইলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক। তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷
advertisement
আরও পড়ুন-চেকআপ না করানোই কি ভুল ছিল কেকে-র? ময়নাতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনাকালে যাঁদের সরকার প্রথম সারির কর্মীহিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, যাঁরা জীবন বাজি রেখে সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের লক্ষ লক্ষ বকেয়া টাকা না মেটানোয় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।