বুধবারই ছিল তেহট্টের ওই নাবালিকার বিয়ের দিন। সেই উপলক্ষে ওই নাবালিকার বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন বলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ছিল না। রীতিমত প্যান্ডেল করে আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে চলছিল রান্নাবান্না ও বিয়ের প্রস্তুতি। যদিও সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
আরও পড়ুন: চাষ করে বড়লোক হতে চান? এই ফসলটি বেছে নিন
advertisement
ঠিক সেই সময়ে ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই তেহট্টের বাগাখালি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছিল আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্প। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তেহট্ট-১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সুদর্শন সাহা। তাঁর কাছে সূত্র মারফত পৌঁছে যায় নাবালিকার বিয়ের খবর। তৎক্ষণাৎ তিনি সহকর্মী ও তেহট্ট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। তাঁদের দেখেই হতচকিত হয়ে পড়েন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: মোদির হাতিয়ারে ইছাপুরের ছোঁয়া, এবার চাপে পড়তে চলেছে আমেরিকা
এরপর প্রশাসনিক আধিকারিকরা নাবালিকা বিয়ের কুফল সম্পর্কে পরিবারের লোকজনকে বোঝান। সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী এর শাস্তি কী সেটাও তুলে ধরা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় নাবালিকার বিয়ে। নাবালিকার বাবা, দাদু এবং পাত্রকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁরা মুছলেকা দিয়ে জানান, ওই নাবালিকার ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না।