গতমাসের অর্থাৎ জুলাইয়ের ২১ তারিখ হাবড়ার যশুরের- বামিহাটি এলাকার বাসিন্দা এমডি আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যবসায়ী তাঁর বিশ্বস্ত এক বন্ধুকে দিয়ে হাবড়া থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম (ATM) এ টাকা রাখার জন্য পাঠিয়েছিলেন। ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা এটিএম মেশিনের মাধ্যমে জমা করা হলেও ওই ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা হয়নি, এমনই অভিযোগ৷ এমনকি ফোনেও কোন এসএমএসও যায়নি তাঁর। ঠিক তার পরের দিন ২২ জুলাই ওই ব্যবসায়ী ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হন৷ এটিএমের মাধ্যমে টাকা জমা রাখা হলেও তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি, এই বিষয়টি ব্যাঙ্কে জানান তিনি৷ হয়ত লিঙ্ক চলে গিয়েছিল বলে এই সমস্যা হয়েছে বলে ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার ব্যবসায়ীকে জানান৷ তবে তিনি টাকা পেয়ে যাবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করা হয় তাঁকে। এরপরে সাত দিন কেটে গেলেও কোনও সমাধান না হওয়াতে ওই ব্যবসায়ী ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানান৷ তখন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সাত দিনের জন্য সময় চেয়ে নেওয়া হয়৷ কয়েকদিন পরে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওই ব্যবসায়ী যে বন্ধুকে দিয়ে টাকা জমা রাখার জন্যে পাঠিয়েছিলেন সেই বন্ধুই টাকা হাফিস করে দিয়েছে! ব্যবসায়ী তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার অনুরোধ রাখেন৷ সেখানে দেখা যায় ব্যবসায়ীর বন্ধু এটিএমের মধ্যে টাকা রাখছেন। এই ঘটনার পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আবার ব্যবসায়ীর কাছে সময় চায়৷ কিন্তু একমাস হয়ে যাওয়ার পরেও ঘটনার কোনও সমাধান হয়নি৷
advertisement
তারপর ব্যবসায়ী এমডি আব্দুল্লাহ গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে চলতি মাসের ২৩ তারিখ হাবড়া থানার দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ করেন যে এটি পুরোপুরি ভাবে ব্যাঙ্কের জালিয়াতি! এইভাবে যদি গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলা হয়, তাহলে গ্রাহকরা কোথায় যাবেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, এই ঘটনার পিছনে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যুক্ত রয়েছেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।