তাঁরা বলছেন, রাস্তার কাজ যেমন তেমন ভাবে শেষ করলেই হবে না। তা যাতে বেশি দিন স্থায়ী হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে। সে কারণেই বরাদ্দ করা অর্থ এত রাস্তার কাজ করার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, জেলার রাস্তার উন্নয়নের জন্য পথশ্রী অভিযান শুরু হয়েছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সে কাজ চলবে। এই সময়কালের মধ্যে প্রস্তাবিত সব রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ কোটি টাকায় ৭৩৯ টি রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয় বুঝেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাস্তার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কাজের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার রাস্তাগুলিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে। প্রথমত, গ্রামবাসীদের অগ্রাধিকার যে রাস্তা সংস্কারে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তেমনই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্কুল সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ তালিকার প্রথম দিকে থাকছে। আবার যেসব রাস্তা ছোট সেগুলি সংস্কারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সেইসঙ্গে যেসব রাস্তা বালির গাড়ি চলে সেগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই রাস্তাগুলিতে টোল আদায়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই রাস্তাগুলি পাবলিক প্রাইভেট মডেলে করা যায় কিনা সে বিষয়টিও ভেবে দেখছে জেলা প্রশাসন। এই পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, খণ্ডঘোষ, গলসি, মেমারি, জামালপুরের অনেক রাস্তার ওপর দিয়েই বালি বোঝাই গাড়ি চলাচল করে। সেইসব রাস্তা খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়। সেগুলি বাড়তি অর্থ খরচ করে সংস্কার করা প্রয়োজন। কয়েক মাস পরই সেগুলি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই সেই সংস্কার কাজে অর্থের ব্যবস্থা রাখতে যাতে টোল বসানো যায় সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত চাওয়া হচ্ছে।
SARDINDU GHOSH