বছরের পর বছর কোন্নগরের হাতিরকুলে এই মাঠেই খেলাধুলো করে স্থানীয় ছেলেরা। এখানেই মেলাপার্বণ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। শুক্রবার সেই মাঠ ঘিরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাতিরকুল।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের শেষে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বারো কাটা এই জমির দখল মিলেছে। এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দা অমিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই জমির দখল নিতে শুক্রবার পুলিশ নিয়ে হাজির হন অমিত।
advertisement
সেই সময়ে খেলা চলছিল মাঠে। পুলিশ জায়গা খালি করতে বলতেই, যেন আগুনে ঘি পড়ে। প্রথমে বচসা। তারপর হাতাহাতি। স্থানীয়দের দাবি., ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করছেন অমিত।
ততক্ষণে এলাকায় পৌঁছে যান কোন্নগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস, স্থানীয় কাউন্সিলর মোনালিসা নাগ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে, লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। গণ্ডগোলে হাতে চোট পান কাউন্সিলর। দাঁত ভেঙে যায় ভাইস চেয়ারম্যানের।
পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জিটি রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এলাকায় নামে র্যাফ। তারমধ্যেই পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ঘেরার কাজ শুরু হয়ে যায়।