পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৫ টি জারিকেন থেকে মোট ৩০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ৩ টি ধাপে বোমাগুলিকে নিস্ক্রিয় করে সিআইডি বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াড। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকালে পুরষার বদরুল মাঠে ধান কাটার সময় জমিতে বোমা ভর্তি একটি জারিকেন দেখতে পান স্থানীয় এক কৃষক। এরপরই খবর দেওয়া হয় গলসি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে জারিকেনটি উদ্ধার করে। পরে তল্লাশিতে আরও তিনটি বোমা ভর্তি জারিকেন উদ্ধার হয়। এরপর রবিবার সকালে আরও একটি বোমা ভর্তি জারিকেন উদ্ধার করে পুলিশ৷ সামগ্রিক তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।
advertisement
বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, "এটা নতুন কিছু নয়।রাজ্যজুড়ে প্রতিদিনই পাওয়া যাচ্ছে বোমা,বন্দুক,গুলি। এমনকি বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূল জানে মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। সন্ত্রাস করেই ক্ষমতা দখল করতে হবে। তাই এই বিপুল পরিমাণে বোমা মজুত করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি এবং এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।বিজেপির অভিযোগ করা কাজ, সেটাই তারা করছে।"