মুকুল রায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য বরাবরই দলের সন্দেহের নজরে রয়েছেন এই সাংসদ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে আসেন এক সময়ের গলসির ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক সুনীল মন্ডল। পুরস্কার স্বরূপ পর পর দুবার তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হয়েছেন তিনি। গত লোকসভা ভোটের পর মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে দলীয় সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
advertisement
দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা নেতার সঙ্গেই তাঁর মত বিরোধ তৈরি হয়েছে বারেবারেই। মুকুল ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে কয়েক মাস আগে দলের এস সি সেলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ইদানিং তাঁকে দলের কর্মসূচিতে দেখাই যাচ্ছিল না, ক্রমশই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন এই সাংসদ। পোস্টার কাণ্ড ও বিরূপ মন্তব্য তারই জের বলেই মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে অবশ্য ফোন করেও সুনীল মন্ডলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বও এব্যাপারে এখনই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তবে সুনীল মন্ডলের গতিবিধির ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতাদের কাছে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে খবর। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্ব কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা জানা নেই। তবে কেউ দলবিরোধী মন্তব্য করলে রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। সুনীল মন্ডল দলের সাংসদ। তিনি কেন এমন মন্তব্য করলেন তা দল নিশ্চয়ই জানতে চাইবে।
শরদিন্দু ঘোষ