সোমবার বিষ্ণুপুরের রসপুঞ্জে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। আহত হন আরও কয়েকজন। তারপর থেকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছেই। ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ঘটকপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত কাল্লো শেখকে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, কাল্লোর গ্রেফতারও রসপুঞ্জের বিক্ষোভের আগুন নেভাতে পারেনি।
advertisement
সোমবার, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। মূল দাবি ছিল গ্রেফতারির। তার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই পুুলিশের জালে কাল্লো শেখ। এলাকায় ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে তোলা হয় একগুচ্ছ দাবিও। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি মেনেও নেয় স্থানীয় প্রশাসন। যেমন,
- রসপুঞ্জ জ্ঞানদাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হবে
- এলাকায় ইভটিজারদের দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ
তাতেও রসপুঞ্জে বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ক্ষোভের তীব্রতা। পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় অবরোধ। রসপুঞ্জ মোড় থেকে সামালি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় কাঠ-ইট-বাঁশ রেখে চলে রাস্তা অবরোধ। ওঠে ক্ষতিপূরণের দাবিও।
বুধবার, কাল্লো শেখ গ্রেফতারের আগে ও পরে দফায় দফায় আগুন লাগানো হয় রসপুঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে। রসপুঞ্জতেও ক্ষোভের মোড় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে গিয়েছে অন্যদিকে। কাল্লোর গ্রেফতারির আগে এদিন সকালেও অভিযু্ক্তের গ্রেফতারি, মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুলিশি নিস্ক্রিয়তার রসপুঞ্জে বিভিন্ন রাস্তা আটকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে অবরোধ ৷