বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, ১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এই বৃদ্ধ ভূষণচন্দ্র পাল। আদি বাড়ি মেদিনীপুর হলেও কয়েক বছর নৈহাটিতে ভাইয়ের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। মানসিক ভারসাম্য়হীন হওয়ায় প্রায়শই বাড়ি থেকে চলে যেতেন বৃদ্ধ। এক মাস অপেক্ষার পর ১০ ডিসেম্বর নৈহাটি থানায় ভূষণচন্দ্র পাল নিখোঁজ বলে ডায়েরি করে পরিবার। এরপর ১৬ জানুয়ারি থানা থেকে পরিবারকে জানায় একজনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। বৃদ্ধের পরিবার দেহ শনাক্ত করে গরিফা রামঘাট শ্মশানে তাকে দাহ করেন। শেষকৃত্য়ের কাজও হয়। এরপরই শুক্রবার সন্ধ্য়ায় ফিরে আসেন এক বৃদ্ধ। তিনি দাবি করেন, তিনিই ভূষণচন্দ্র পাল। বৃদ্ধ বলেন, "বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ট্রেনে করে দিল্লি চলে গিয়েছিলাম। আবার ট্রেনে ফিরে এসেছি।"
advertisement
শুক্রবার সন্ধে থেকেই ভূষণচন্দ্র পাল ফিরে আসার খবরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। তাঁকে দেখার জন্য় অনেকেই ভি়ড় করছেন বাড়িতে। শেষ পর্যন্ত বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেয় পরিবার। পরিবারের সদস্য় রীতা পাল বলেন, "আমার বিয়ের পর থেকে এখানেই থাকেন। মাথার ঠিক নেই। প্রায়ই চলে যেতেন। ওনার ছেলেমেয়ে মেদিনীপুরে থাকে।"
বৃদ্ধের সঙ্গে দেখা করতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সনৎ দে। তাঁর দাবি, "কিছুটা অবাক হয়েছি। দেহ শনাক্ত করেছিল পরিবার, ওনার ছেলেও ছিল। পুলিশ দেহ দিয়েছিল। তাঁর নামে একজনের শ্রাদ্ধ হয়ে গেল। কী করে দেহ দিল, পুলিশই বলতে পারবে।"
অরুণ ঘোষ
