বিদ্যালয়ের সহশিক্ষক মানস কুমার দাস প্রথম মহিলার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন উনি একজন সুস্থ পথহারা ভিন রাজ্যের মহিলা। এরপরেই হ্যাম রেডিওর সক্রিয় প্রতিনিধি দিবস বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক সপ্তাহ আগে। মহিলার সঙ্গে কথা বলার ঠিক দুই দিন পরে হ্যাম রেডিওর সহায়তায় তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়। মকর সংক্রান্তির স্নান করতে রুক্মিণী দেবী এসেছিলেন গঙ্গা সাগরে। সহ যাত্রীদের সঙ্গে আর ফেরা সম্ভব হয়নি।দীর্ঘদিন ঠিকানাহীন পাগলের মত জীবন কাটিয়েছেন রুক্মিণী। অবশেষে সংসারের ঠিকানা মিলল ওর, হ্যাম রেডিও হাত ধরে।
advertisement
রুক্মিণী দেবীর বড় ছেলে মিথিলেশ রায়, মেজো ছেলে দীনেশ রায় ,এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে বুধবার দুপুরে সাগরে পৌঁছে যান। এসে তাদের হারানো মাকে দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও ভিড় জমান তাঁদের দেখতে। গ্রামবাসীরা জানান যে ওনারা খুব খুশি ,দীর্ঘদিন পরে সন্তানরা হারানো মাকে খুঁজে পেল, আর মা তাদের সন্তানদের ফিরে পেল । দিবস বাবু ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশংসা করেন সবাই। এমনকি গ্রামের মহিলারা তাঁকে নতুন শাড়ি কিনে পরিয়ে দেন। এরপর পুলিশ প্রশাসন ও বিডিও অফিসের অফিসার দের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের মাকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পান।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে,তারা কাকদ্বীপ থেকে ট্রেনে চড়ে শিয়ালদহ এর দিকে রওনা দেন।
SHANKU SANTRA