এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা আসনের মধ্যে দুটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে৷ তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কেন্দ্র বহরমপুরে এখনও দাঁত ফোঁটাতে পারেনি শাসক দল৷ অভিষেকের মুখে মুর্শিদাবাদে তিনে তিন করার কথা শুেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও৷ অধীর বলেন, তৃণমূলের কোনও ছোটখাটো নেতার বিরুদ্ধে না লড়ে আমার ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়া৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহরমপুর থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে আমাকে হারিয়ে দেখাক৷ তাহলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব৷
advertisement
আরও পড়ুন: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভায় পুলিশের না! ‘মিছিল হবে ডুগডুগি বাজিয়ে’, চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতার
রবিবার হরিহরপাড়ার সভা থেকে অভিষেক বলেন, আগামী দিনে চল্লিশের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা ঝাঁপাবো এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় আমাদের তিন তিন হবে৷ অভিষেকের এই দাবির জবাবে একযোগে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি৷ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘অমিত শাহ বলে গেলেন ৩৫টা আসন চাই৷ আর একজন বলছেন ৪০টা আসনে জিতবে৷ ৭৫টা আসন তো হয়েই গেল৷ আমরা তো খই ভাজতে বসে নেই৷’
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূলকে বিধানসভায় ছেড়ে দেবে, তৃণমূল লোকসভায় বিজেপি-কে সুবিধা করে দেবে৷ এটাই তো বোঝাপড়া৷’ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে তো বাধা নেই৷ স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে৷’
রবিবার অবশ্য অধীরের বিরুদ্ধেও সরাসরি বিজেপি-র সঙ্গে বোঝাপড়ার অভিযোগ করেছেন অভিষেক৷ তৃণমূল নেতা বলেন, ‘উনি দিদির পুলিশে ভরসা করেন না৷ দাদার পুলিশে ভরসা করেন৷ দাদার নাম অমিত শাহ৷ এর পরেও বলতে হবে কার সঙ্গে কার জোট, তলায় তলায় সেটিং৷’ জবাবে অধীর বলেন, ‘চোরেদের আরও বেশি করে ধরার জন্য আমিই অমিত শাহকে বার বার চাপ দিয়েছিল৷’