এদিন অধীর চৌধুরী জানান, দেশের সরকারের সম্মতি নিয়ে কৃষকরা ট্র্যাক্টর র্যালি বের করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে না গিয়ে অন্য পথে যান কৃষকরা। এই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়নি? এমনকি এই আন্দোলনে যে পাকিস্তানি শক্তি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছিল তাও কি গোয়েন্দা দফতরের কাছে খবর ছিল না? প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী।
advertisement
সমস্ত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় গুপ্তচর সংস্থা ঘুণাক্ষরেও কিছু জানতে পারল না, তা মেনে নিতে নারাজ তিনি। তাঁর মতে এটি কেন্দ্রের ব্যর্থতা। প্রতি বছরই সাধারণতন্ত্র দিবসে নিরাপত্তা থাকে কড়া। এইদিনটিতে যাতে সব দিক থেকে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে সেদিকেই নজর রাখা হয়। সেই নিরাপত্তা ভেঙে কী ভাবে আন্দোলনকারীরা লালকেল্লায় ঢুকে পড়ল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, এতদিন কৃষক আন্দোলনে শান্তি বজায় ছিল। তাকেই কালিমালিপ্ত করতে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এতে পুলিশের মদত আছে বলেই তাঁর দাবি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নতুন কৃষিবিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশের নানা প্রান্তের কৃষক। মাস দুয়েক ধরে রাজধানীতে বিরাট চেহারা নিয়েছে তাঁদের প্রতিবাদ। তবে সেই আন্দোলনে শান্তি বজায় ছিল প্রথম থেকেই। দিল্লির বুকে পঞ্জাব-হরিয়ানার অগণিত চাষিদের এই প্রতিবাদ-আন্দোলন সভাকে ঘিরে ক্রমে জল্পনাও বেড়েছে। কিন্তু কালকের ঘটনা চরম রূপ নিল। কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে রাজধানীতে এদিন চলে ধুন্ধুমার। লালকেল্লায় আন্দোলনের নামে কৃষক বনাম পুলিশ চলে তাণ্ডব।