এদিকে, গোটা বাংলা জুড়ে বেড়ে উঠছে নারী নির্যাতন এবং শিশুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা । এই বিষয় মাথায় রেখেই কলকাতা পুলিশের মতোই এবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে এক বিশেষ মহিলা পুলিশ বাহিনী গঠন করা হয়েছে, যার নাম 'উইনার্স'। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির থেকে উইনার্স টিম-এর যাত্রা শুরু হল। ২১ জন সদস্যের এই মহিলা পুলিশ বাহিনী গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে মোটরবাইকে করে ঘুরে বেড়াবে, এবং মহিলাদের সঙ্গে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গেসঙ্গে তারা অ্যাকশন নেবে এবং স্থানীয় থানাকে জানাবে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে 'উইনার্স' টিমের আজ থেকে যে পথ চলা শুরু হল, তার ফলে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে নারী নির্যাতনের ঘটনার সংখ্যা কমবে, সুরক্ষিত থাকবে শিল্পাঞ্চলের নারী এবং শিশুরা।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি এসে প্রেম নাবালিকার, গোপনে উঠল ছবি, তারপর? সিকিমে রহস্যভেদ
এদিকে, হাঁসখালিতে মৃত নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। গোটা এলাকাজুড়েই তদন্ত চালাচ্ছে তারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬ টার পর হাঁসখালিকাণ্ডে নাবালিকার বাড়িতে আসেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তারইমধ্যে অন্ধকারে ঢেকে যায় নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ি লাগোয়া পুরো এলাকা। তারইমধ্যে গাড়ির আলো, টর্চ জ্বালিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়িতে ঢুকে যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনেই বড় খবর দিল বেলুড় মঠ, ভক্তদের মধ্যে খুশির জোয়ার
মঙ্গলবারই হাঁসখালির ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সরকারি আইনজীবী। কেন দেরিতে মামলা দায়ের হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি। কী তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তা নিয়েও স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি। এমনকী আদালতে পেশ করা কেস ডায়েরির সঙ্গে সরকারি আইনজীবীর দেওয়া তথ্যও মেলেনি। যে কারণে বিচারপতি মন্তব্য করেন, যা কেস ডায়েরিতে নেই তা আদালতে বলবেন না।