যদিও এদিনের সভাতেই অভিষেক বক্তব্য রাখার সময়
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক মহিলা। সেই খবর পৌঁছতেই বক্তৃতা থামিয়ে তড়িঘড়ি চিকিৎসার নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার নির্ধারিত সময় বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে বক্তৃতা থামিয়ে দেন অভিষেক। ওই মহিলার চিকিৎসার নির্দেশ দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
advertisement
আরও পড়ুন: করা হল সতর্ক, তবে কলকাতা হাই কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান অভিষেক। তাঁর কথায়, ''বিজেপির কেন্দ্রীয় এজেন্সি আছে৷ আর তৃণমূলের কর্মী আছে। যা দেশের কারও নেই৷ ২০১৯ এর পর তিন বছর কর্মীরা আছে। এই দলে দুই-তিন নম্বর কেউ নেই৷ এখানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরে কর্মীরা আছে।
আজ দেশে কী পরিস্থিতি তৈরি করছে দেখুন। বাংলায় গো-হারা হেরে রাগ হয়েছে। তাই বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। চটকলের অবস্থা খারাপ করেছে। আমাদের লড়াই দ্রব্য মূল্য থেকে শুরু করে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার বিরুদ্ধে। এই তৃণমূল এখন গোয়া, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়ে।''
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৮ বছর, অমিত শাহের কথায় ২০৪৭! কেন উঠল ২৫ বছর পরের কথা?
অভিষেকের সংযোজন, ''একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে৷ আমরা ওদের বশ্যতা স্বীকার করিনি৷ আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা দিল্লির কাছে মাথা নত করব না৷ যারা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারা বুঝেছেন৷ এই যে অর্জুন সিং বুঝেছেন বিজেপি মানে খাল কেটে কুমির আনা। আমি কি দরজা খুলব না বন্ধ করে রাখব? আচ্ছা আপনাদের কথা শুনে দরজা বন্ধ রাখলাম। তোমাদের অনেক টাকা, অনেক অর্থ, অনেক এজেন্সি। আমরা ছোট দল। আমাদের ছোট দলে নাম লেখাতে বড় দল থেকে এসে সব লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। যারা যারা লাইনে আছে, নাম বললে চ্যানেলে ৫ দিন ধরে টক শো হবে। আমি সেই বিতর্ক করব না।
সবার পেছনে ইডি-সিবিআই দিয়ে চমকাচ্ছে।''
