নজরে হলদিয়া৷ হলদিয়া শিল্প তালুকে শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কড়া তৃণমূল কংগ্রেস। ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি কড়া হচ্ছে দল। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে হলদিয়া থেকে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই কড়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, প্রশাসনের তরফেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। আপাতত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। হেল্পলাইন মারফত যে অভিযোগ এসেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ঠিকাদারদের অনেকে টাকা নিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে, কর্মীদের প্রাপ্য যথাযথ দেওয়া হয় না, পিএফ, ইএসআই জমা দেওয়া হয় না। মেলে না পে স্লিপ। আর এই সব অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে কেমন থাকবে আবহাওয়া? কোন কোন জেলায় আছড়ে পড়তে পারে কালবৈশাখী? জানুন...
সদ্যই শেষ হয়েছে রাজ্য শিল্প সম্মেলন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পরিষ্কার বার্তা ছিল, 'স্থিরতা চাইলে, বাংলায় তা আছে। বাংলা নিরাপদ এবং স্বচ্ছ। আস্থা রাখুন, বিনিয়োগ করুন, বাংলা নিরাশ করবে না।' শিল্পমহলকে এই বার্তা দেওয়ার পরেই, শিল্পতালুকে নজর। বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে ঠিকাদারদের দৌরাত্ম্যে, সমস্যা হয়। সেই সমস্যা মিটিয়ে, শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে কড়া হাতে নামতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন৷ যার শুরু হতে চলেছে হলদিয়া শিল্প তালুক দিয়ে। প্রতিটি ঠিকাদার সংস্থার শ্রমিকদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পিএফ নম্বর স্থানীয়ে শ্রম দফতরে জমা দিতে হবে। নতুন শ্রমিক নিয়োগ হলে তালিকায় তার আপডেট দিতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিকের মাসে ২৩-২৪ দিন কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঠিকাদাররা পিএফ, ইএসআই এর টাকা নিয়মিত জমা দিচ্ছে কিনা তা ম্যানেজমেন্টকে দেখতে হবে৷ কোনও মাসের টাকা জমা না পড়লে ঠিকাদারদের পাওনা আটকে থাকবে।
এ ছাড়াও শ্রমিকদের ইউনিফর্ম, নিরাপত্তার সামগ্রী এ বার থেকে ম্যানেজমেন্ট সরবরাহ করবে। ঠিকাদার সংস্থা এতে নাক গলাবে না। শ্রমিকদের পাওনা গন্ডায় কোনও অনিয়মের নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই সেই ঠিকাদার সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। শ্রমিকদের পে স্লিপ দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনও ঠিকাদার সংস্থার মালিক বা প্রধান আইএনটিটিইউসি'র কোনও পদে থাকতে পারবেন না।
ABIR GHOSHAL