শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সবচেয়ে আলোচিত যে জেলার নাম, তা হল নদিয়া। ইতিমধ্যেই এই জেলার শাসক দলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছেন। আর এক বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন দলের একাংশই ৷ এই অবস্থায় প্রতিদিন বিরোধীরা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই অবস্থায়, গত মাসে জেলা সফর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন। দলীয় কাজের সুবিধার্থে নদিয়া জেলায় বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক ভাগ রয়েছে তৃণমূলের।
advertisement
নদিয়া উত্তর তথা কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাতেও রদবদল করা হয়েছে সম্প্রতি। শুধু কৃষ্ণনগরেরই ৪টি ব্লক-সহ গোটা জেলার ১২ টি ব্লক ও টাউনের সভাপতি, সহ-সভাপতির নাম নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি জেলা সংগঠনের অন্য কোনও পদে থাকতে পারবেন না। সেই কারণে নতুন অনেকের উপরই দায়িত্ব বর্তেছে। আর তা পুনরুদ্ধার করতে জেলা একেবারে তৃণমূল স্তরের সংগঠন থেকে স্বচ্ছতায় জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। আর তা মাথায় রেখেই এহেন রদবদল করা হয়েছে নদিয়ার দুই সাংগঠনিক জেলায়।
স্বচ্ছতায় সামান্য দাগ পড়লেও জনপ্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হবে। প্রার্থী হওয়া যাবে না। বারবার দলকে এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নজরে রেখেই জেলা সংগঠনগুলিতে আমুল বদল করা হচ্ছে। জেলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগও উঠেছে, তাঁরাই বাদ পড়ছেন। নতুন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতাকেই তুলে আনা হচ্ছে তাঁর জায়গায়। জেলা সংগঠন সাজাতে গিয়ে সেদিকেই বাড়তি নজর দিয়েছে তৃণমূল। জেলার যুব, মহিলা সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল এনে প্রকাশ করা হয়েছিল নতুন তালিকা। পরিবর্তন এসেছে দায়িত্বের নিরিখেও।