বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর এই প্রথম দলের নেতা মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্বাভাস ছিল, এই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। হলও তাই। আবেগের জোয়ারে ভাসলেন মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে সদ্য অভিষিক্ত হওয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, নতুন দায়িত্ব পেয়ে আমি অভিভূত। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ। দলের প্রতিটি সৈনিক, যাঁরা এই যুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন, তাঁদের ধন্যবাদ। প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তাঁদের এই লড়াই বাংলাকে জিতিয়েছে। মানুষের জন্য কাজ করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ ও বার্তা দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে সবরকম চেষ্টা করব। দলের প্রতিটি সিনিয়রকে কুর্ণিশ, যাঁরা দলের হাজার প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও দলের নীতি ও আদর্শ পালন করেছেন।
advertisement
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন টার্গেট। এদিন বৈঠকে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, প্রশান্ত কিশোর নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্টির একাধিক নীতিতেত রদবদল করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে দলের প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালনে যেন কোনও খামতি না থাকে! দুর্নীতি ও ফাঁকিবাজি দূরে সরিয়ে মানুষের হিতসাধনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে প্রতিটি পার্টিকর্মীকে। নরমে-গরমে এদিন সেই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার বার্তা দিয়ে অভিষেক যেন তাঁরই বার্তার সম্প্রসারণ করলেন।