বীরভূমের ডাকাবুকো নেতা গ্রেফতার হতেই জেলার কর্মকাণ্ড সচল রাখতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভূমিকা কী হবে তা স্থির করতে আগামী ২৬ তারিখ কলকাতায় বৈঠক ডাকল শাসক দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জেলার বিধায়ক-সাংসদ-বিভিন্ন সাংগঠনিক পদাধিকারীদের সঙ্গে এই বৈঠক করবেন বলে আপাতত স্থির হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের জঙ্গলমহল রাজনীতির হাওয়ায় গরম, একই দিনে সভা মমতা-শুভেন্দু-সুকান্তর
বীরভূম জেলা তৃণমূলের বৈঠক ছিল গতকাল রবিবার দুপুরে। বোলপুরে জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসের এই বৈঠকে জেলার বিধায়ক ও নেতারা। অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়াই আগামিদিনে বীরভূমে পার্টির কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেটা ভালমতোই বুঝেছেন অন্য নেতারা। পার্টির কাজ এবার কীভাবে এগোবে, সেই অ্যাজেন্ডা তৈরির জন্যই ছিল গতকালের বৈঠক।
বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কীভাবে রাস্তায় নামতে হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আগেই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর থেকে প্রত্যেক রবিবার বীরভূমে তৃণমুলের বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হবে। জেলা দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকের আহ্বায়ক বীরভূমের সিউড়ির বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। পাশাপাশি বীরভূম জেলা তৃণমুলের নতুন মুখপাত্র হলেন মলয় মুখোপাধ্যায়। অভিজিৎ সিংহ, চন্দ্রনাথ সিনহা সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে পরিচালন কমিটি গঠন করেছিল তৃণমূল। এই কমিটি বীরভূমে দলের কাজকর্ম কীভাবে এগোবে, তা দেখবে।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সংগঠনের ‘বস’ ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি নেই মানে সংগঠনে বড় শূন্যতা। আর সেই শূন্যস্থান পূরণে তৃণমূলকে যে হিমশিম খেতে হবে, তা আন্দাজ করা গিয়েছিল আগেই। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর এই গ্রেফতারি বীরভূমে তৃণমূলকে চাপে ফেলেছে। তবে অনুব্রতর অভাবের কারণে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন ছাপ না ফেলে, সেদিকে নজর রাখছে দল।
কিছুদিন আগেই আসানসোল আদালতের বাইরে অনুব্রত বলেছিলেন, চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দল চালাতে হবে। আবার পঞ্চায়েতের কাজ দেখভালে দলের তরফে প্রশাসনের সঙ্গে সংযোগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজিৎ সিংহকে। ফলে সবাইকে নিয়েই যাতে দল পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে,. তা নিয়েই কলকাতায় শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।