প্রসঙ্গত, গত বছর ৩ ডিসেম্বর কাঁথির সভা থেকে মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রামকৃষ্ণ মণ্ডল এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্রকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগেই ছিল ওই পদক্ষেপ। কাঁথি-৩ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝুনুরানি এবং গৌতম এ বার যথাক্রমে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার হাতে আছে এক ছোটখাটো ‘কেষ্ট মণ্ডল’ও! নাম-তথ্য তুলে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
যা নিয়ে ঝুমুরানি মণ্ডলের বক্তব্য, ”বুথের মানুষ চেয়েছেন, দল তাই আবার আমাকে প্রার্থী করেছে।” অপরদিকে, অখিল গিরির দাবি, রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর এক নম্বর অঞ্চলের প্রধান সেলিম আলি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরাদেরও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৭ ডিসেম্বর প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে বললে ইস্তফা দেওয়ার পরেই গ্রেফতার হন শান্তিপুর এক নম্বর অঞ্চলের প্রধান সেলিম আলি। এবারে তাকে আর প্রার্থী করেনি দল।
আরও পড়ুন: এতদিন পর সারদা মামলায় গ্রেফতার আরও ২! কারা তাঁরা? কী হতে পারে, জল্পনা শুরু
তৃণমূল সূত্রের খবর সেলিম আলির ঘনিষ্ঠ উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায়কেও প্রার্থী করেনি দল। সেলিম ঘনিষ্ঠ অনেকেই এবারে পঞ্চায়েতের টিকিট পায়নি। শান্তিপুর এক নম্বর অঞ্চলের মোট আসন ২০টি। তৃণমূল সূত্রের খবর, এবার নতুন মুখ আনা হয়েছে বেশিরভাগ আসনেই। টিকিট দেওয়া হয়নি সোমনাথ বেরাদেরও। যা নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি।