রাজ্যের পরিবহণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘চোখে অস্ত্রোপচারের পর সাংসদ ডায়মন্ড হারবারে আসছেন। বিজয়ার পর তাঁর সঙ্গে শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন দলীয় নেতা এবং কর্মীরা। আজ, মঙ্গলবার রিভিউ বৈঠকের এমন আবহে সাংসদ কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।’’
ডায়মন্ড হারবার অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে তিনি আসছেন বিকেলে। এখানে পর্যালোচনা বৈঠক রয়েছে তাঁর। এরপর ১৭ তারিখ বেরিয়ে যেতে পারেন মেঘালয়ে । ১৭ এবং ১৮ নভেম্বর তাঁর সেখানে থাকার সম্ভাবনা। উত্তরপূর্বের ছোট্ট রাজ্যে শাখা বিস্তার করেছে তৃণমূল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সদলবলে যোগ দিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। অভিষেক আগেও একাধিকবার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে শিলং গিয়েছেন। এবারও যেতে পারেন। এরপর ২৭ নভেম্বর দিল্লি যেতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
advertisement
২৭ ও ২৮ নভেম্বর তাঁর দিল্লিতে থাকার সম্ভাবনা। ওই সময় সম্ভবত সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলবে। সেখানে যোগ দিতে অভিষেকের দিল্লি সফর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর বাইরেও তাঁর দিল্লি সফরে অন্য গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মেঘালয়, দিল্লি থেকে ফিরে পুরোপুরি রাজ্যের সংগঠনে মনোনিবেশ করতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩ ডিসেম্বর, শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথি থেকে শুরু করবেন রাজনৈতিক সভা।
আরও পড়ুন- নজরে আদিবাসী ভোট, আজ ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপর ১৭ ডিসেম্বর রানাঘাট যাওয়ার কথা তাঁর। তবে তার আগে মেঘালয় ও দিল্লি সফর থেকে অন্য কোনও বার্তা দেন কি না, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। আজ এলাকার সাংসদ তথা দলীয় নেতা কী বার্তা দেবেন তা নিয়ে আগ্রহও তৈরি হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের নেতা এবং কর্মীদের মধ্যে। ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার জানিয়েছেন, ‘‘এমন অনুষ্ঠানে আমরা সাংসদের সঙ্গে যোগ দিতে পারব এটা আনন্দের বিষয়। দলের নেতা, কর্মীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন৷’’