শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচি রণক্ষেত্রের আকার নেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সেই চারজনই তৃণমূলের কর্মী। এই ঘটনার পরে উত্তপ্ত গোটা রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) এই ঘটনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) দায়ী করেছেন।
এই ঘটনা নিয়েই অভিষেক বলেছেন, "ঘটনায় প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। কোচবিহারের শিলিগুড়িতে চারজনকে গুলি করে নিহত করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কার নির্দেশে সেটা তদন্তসাপেক্ষ। নেতাই নন্দীগ্রামের পরে এই গণহত্যা আর কোথাও হয়নি ১০ বছর বাংলার মাটিতে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ আগে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। অথবা হাতে বা পায়ে গুলি ছোড়ে। এরা বুকে গুলি করেছে।"
advertisement
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে অভিষেক বলছেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমি দোষ দিই না। কিন্তু কার নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালো। আগামী দিন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। যত বড় মাথা থাকুক। টেনে হিচড়ে বার করা হবে। এই তরতাজা প্রাণ যারা কেড়ে নিয়েছে, এর শেষ দেখে ছাড়ব।"
নির্বাচনে অশান্তির জন্য নির্বাচন কমিশনকেও দায়ী করেছেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘণ্টা শীতলকুচিতে সমস্ত রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। যা নিয়ে সুর সপ্তমে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকালের ঘটনাকে 'গণহত্যা' বলে আখ্যা দিয়েছেন মমতা। মমতাকে শীতলকুচি যেতে না দেওয়া নিয়েও সরব হয়েছেন অভিষেক।
ট্যুইটে অভিষেক লেখেন, 'নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রতি নির্বাচন কমিশনের দাসত্ব অত্যন্ত বিরক্তিকর। ক্ষমতার লালসায় বিজেপি অন্ধ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন অন্তত নিরপেক্ষ থাকার ভান করতে পারত।'