তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ভরসার বলেই পরিচিত সুশান্ত। তাই তাঁর জয় প্রকারান্তরে অভিষেকেরই জয় বলে মনে করছেন অনেকে। সুশান্তের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রেও অভিষেকের 'প্রভাব'-এর গুঞ্জন ছিল। তবে, অভিষেকের সেই আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন তিনি। এদিন শপথ গ্রহণ করতে এসেছেন বিধানসভায়। সেখানেই সুশান্ত বলেন, 'আসলে মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপি বলে কিছু নেই৷ লোকসভায় ভোট দিয়ে মানুষ ভুল করেছে, সেটাও তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন। মানুষের জন্য কাজ এবার আমরা করব। মানুষ তাই আমাদের সমর্থন দিলেন।' নেপাল মাহাতোকে নিয়েও সুশান্ত বলেন, 'নেপাল মাহাতো দীর্ঘদিনের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু কিছু কাজ করতে পারেননি। তাই মানুষ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রেখেছেন।'
advertisement
বাঘমুন্ডি থেকে তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত মাহাতো ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জোটসঙ্গী আজসুর প্রার্থী রাকেশ মাহাতো পেয়েছেন ৩০ শতাংশ ভোট। আর নেপাল মাহাতো চলে গিয়েছেন তৃতীয় স্থানে। বিজেপি এই আসনটি জোটসঙ্গী অজসুকে ছেড়ে দিয়েছিল। আর সংযুক্ত মোর্চার তরফে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের বিধায়ক নেপাল মাহাতো।
পুরুলিয়ায় ৯ টির মধ্যে ৩ টিতে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভার নির্বাচনের পর এই সম্ভাবনাটুকুও ছিল না। কিন্তু সেই বিপরীত স্রোত ধীরেধীরে নিজেদের দিকে টেনে এনেছে শাসকদল। গোটা জঙ্গমহলেই তাই আশাতীত ভালো ফল করেছে শাসক দল। গোটা জঙ্গলমহলের ৪০ আসনের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছে তৃণমূল। তার মধ্যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বাঘমুন্ডি কেন্দ্রটিও।