এর পরেই ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর মৃতদেহ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে গৃহবধৃ। অন্যদিকে, মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, ওই বধূকে খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই ওই বধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
advertisement
এই ঘটনায় চাহিদা মতো পণ না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফে করা অভিযোগকের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম-শর্মিলা নাথ (২৪)।
পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে দুর্গাপুরের এ জোনের বাসিন্দা শর্মিলা নাথে আউশগ্রামের ছোড়া এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত ঢালির সাথে বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শর্মিলার ওপর অত্যাচার করছিলেন স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা।
আরও পড়ুন- ফের ভাসবে কলকাতা, সোম রাত থেকেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! দেখুন ওয়েদার আপডেট
রবিবার সেই অত্যাচারের সীমা চরমে পৌঁছয়। খবর পেয়ে শর্মিলা নাথের মা তাঁকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তাতে বাধা দেয় শর্মিলার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে শর্মিলা নাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।মেয়েকে অত্যাচার করার পর মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ শর্মিলা নাথের পরিবারের।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলে পাঠিয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আউশগ্রাম থানার পুলিশ শর্মিলা নাথের স্বামী সুশান্ত ঢালিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।