তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিরোধী দল বিজেপি এই কাজ করেছে। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সকলেরই জানা। বহিরাগত প্রার্থী বলতে কাকে উদ্দেশ্য করে সে কথা বলা হয়েছে আর কারা সেই পোস্টার দিয়েছে তা সকলেই জানেন। তাই অহেতুক বিজেপির উপর দোষ চাপিয়ে লাভ নাই।
advertisement
জামালপুর বাসস্ট্যান্ড, জামালপুর বাজার, হাড়ালা মোড়-সহ মেমারি তারকেশ্বর রোডের বিভিন্ন জায়গা এই ফ্লেক্সে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে। জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনেও ভূমিপুত্র প্রার্থী চেয়ে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। কোথাও লেখা ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই, আবার কোথাও ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি ও দলীয় প্রতীক দিয়ে লেখা, 'প্রার্থীর নাম ঘোষনার আগে তৃণমূলের নেতারা সাবধান হোন। এবারও যদি বহিরাগত কাউকে জামালপুর বিধানসভায় প্রার্থী করা হয় তবে পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে। ভোটের দিন সাপ-লুডো খেলে দেবে জামালপুরের জনগণ'।
জামালপুর বিধানসভা ২০১১ সালে পালাবদলের সময় সিপিএমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উজ্জ্বল প্রামাণিক বিধায়ক নির্বাচিত হন। সেবার জামালপুরের তৃণমূল নেতা মেহেমুদ খান ও উজ্জ্বল প্রামানিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব বেড়েছে অনেকটাই। ২০১৬ সালে জামালপুর বিধানসভায় উজ্জ্বলকে প্রার্থী করে তৃনমূল।
সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন উজ্জ্বলবাবু। ২০১৬ সালেও বহিরাগত প্রার্থী নিয়ে সরব হয়েছিলেন দলেরই একাংশ।এমনকি মেহেমুদ খান ও উজ্জ্বল প্রামাণিক গোষ্ঠী জামালপুর বিধানসভায় আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারনা,সেই কারণেই প্রবল তৃণমূল হাওয়া থাকলেও সেবার জামালপুর কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন শাসক দলের প্রার্থী।
তাই জামালপুরের জনণের নামে লাগানো ফ্লেক্স সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এই ঘটনা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের বক্তব্য, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন কে প্রার্থী হবেন। সেই সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
Saradindu Ghosh