কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়। মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ছটা নাগাদ বাড়ির পাশে ইঁদুরের গর্ত বোজানোর কাজ করছিল বিশু মুর্মু নামে ওই যুবক। সে সময় তার বাঁ হাতে ওই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা সাপ ছোবল দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারাই উদ্যোগী হয়ে গাড়ির ব্যবস্হা করে বিশুকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
advertisement
কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তার অবস্থার অবনতি হয়। তখন বর্ধমান মেডিকেলের বদলে তাকে মন্তেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাসিন্দারা বলছেন, অনেক সময়ই খাবারের সন্ধানে ইঁদুরের গর্তে সাপ ঢোকে। এক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সময় সাপের ছোবলে অনেকেই জখম হচ্ছেন। এলাকায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। সাপের ছোবলের পর যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
গত কয়েকদিনে কালনা মহকুমা হাসপাতালে সাপের ছোবলে সাতজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুজন ভর্তি হন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে বাকি পাঁচজন রোগী সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে সহকারি সুপার গৌতম বিশ্বাস বলেন, সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু হলে সাপের আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তাই বাসিন্দাদের কাছে পরামর্শ সাপে কামড়ালে দ্রুত রোগীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।