#দিঘা: দিঘায় এবার পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণ। রাজ্য সরকার তৈরি করছে নয়া পার্ক ঢেউসাগর। দীঘায় এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছে নয়া জায়গা। যাত্রানালা পার্কে এবার পাকাপাকি ভাবে তৈরি করা হচ্ছে স্টেজ। সমুদ্রের ধারে এই অনুষ্ঠানস্থল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এই কাজে সহায়তা করবে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর।
advertisement
বুধবার সন্ধ্যায় শিল্প সন্মেলনের আসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এই যাত্রানালা পার্কে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাজির ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। ময়ূরপঙখীর আদলে তৈরি করা হয়েছিল একটা স্টেজ। এছাড়া সমুদ্রের ধারে ঝাউ বাগানকেও আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় নিজে পার্ক তৈরির জায়গা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। ফিরহাদ হাকিমকে সাথে নিয়ে কেমন দেখতে হবে পার্ক সেই নকশাও তিনি করে দেন।
আপাতত ঠিক হয়েছে কিছু খাবারের স্টল করা হবে এখানে। কাছেই তৈরি করা হচ্ছে একটি অতিথিশালা। মৎস্য দফতরের এই নতুন অতিথিশালা শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে। দুদিনের এই শিল্প সন্মেলন থেকে পর্যটনের জন্য দীঘা অবশ্য আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। রাজ্যের দাবি মেরিন ড্রাইভ তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যেই। অমবুজা ও হায়াত গোষ্ঠীর দুটি হোটেল তৈরি হয়ে যাবে আগামী দেড় বছরের মধ্যে। রাজ্য সরকার চাইছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা যাতে এখানে এসে তাদের বৈঠক গুলি সারতে পারে।
অন্যদিকে দিঘায় শিল্প সন্মেলনের শেষ দিনে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে থাকছে,অ্যাপারেল হোলসেল হাব । বজবজের কাছে এই হাবে প্রায় ১৬০০০ লোক কাজ করবে। ১১ লাখ স্কোয়্যার ফিট জায়গায় যা তৈরি হতে চলেছে। বেল অ্যান্ড ব্রাস মেটাল সেন্টার। স্টীলের বিভিন্ন ধরণের কাজের জন্য। গড়বেতা স্টিল ফ্যাবিকেশন সেন্টার। ঝালদাতে তৈরি হবে কমন প্রোডাকশন সেন্টার। ভেদিয়াতে কাঁথা স্টিচ সেন্টার। নদীয়ার বীরনগরে মাটির কাজের জন্য আলাদা সেন্টার। শুশুনিয়া এলাকায় পাথরের কাজ করার জন্য সেন্টার। বোলপুরে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার। শিলিগুড়িতে ছোট শিল্পের জন্য সেন্টার।
রাজ্যের দাবি এই সমস্ত জায়গা থেকেও আগামীদিনে রাজ্যে ভালো কর্ম সংস্থান হবে। বৃহস্পতবিারও মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের বাংলায় বিনিয়োগ করতে বলেছেন নিশ্চিন্তে। তার অভিযোগ বিভিন্ন কারণে ভয় দেখানো হচ্ছে। মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন শিল্পপতিরা। যদিও বাংলায় শিল্প করলে এমন কোনও অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বস্ত করেন তিনি। আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ হতে চলেছে বিজিবিএস।
