গত রবিবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে জানান ওই গৃহবধূ। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের বিরুদ্ধে রানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকে। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, বাকিরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- স্পষ্ট ‘বেবিবাম্প’! বিয়ের ১০ মাসেই ঘটা করে সাধ খেলেন মোহর, হবু মা-কে আলিঙ্গন দুর্নিবারের, রইল ছবি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ জানায়, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কেউই আমাকে পছন্দ করত না। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন পণের দাবিতে আমার উপর অত্যাচার চলত। ওই গৃহবধূর বৌদি হাসিনা খাতুন বলেন, ওরা নিজেরা পছন্দ করেই বিয়ে করেছিল। বিয়েতে পণে নগদ টাকা মোটরবাইক সব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পরেও পণের দাবিতে আমার ননদের উপর ওর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। আমরা ওর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কঠোর শাস্তি চাই।
আত্মীয় সামিরুল ইসলাম বলেন, শ্বশুরবাড়ির দাবি মত বিয়ের সময় সব পণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও পণের দাবিতে অত্যাচার চলত। কতটা নিষ্ঠুরভাবে মেয়েটাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল ওরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু তারপরেও পণের দাবিতে অত্যাচার চলত। কতটা নিষ্ঠুরভাবে মেয়েটাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল ওরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।