কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বলেন, "বিগত ১০ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থা করুণ হয়ে উঠেছে। আর করোনা অতিমারির মধ্যে রাজ্যের সেই বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবিটাই আরও প্রকট হয়েছে। পদ্মে পা দেওয়া ওই চিকিৎসকদের দাবি বিজেপি ফিরলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফিরবে। জন সাধারণের দুর্ভোগ দূর হবে। মানুষের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে যাবে।
advertisement
কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় এদিন বলেন, "কেন্দ্রের মোদি সরকার আর বিজেপি সোনার বাংলা গড়ার সংকল্প নিয়েছে। আর বিজেপির সেই সংকল্প পূরণ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।” মুকুল রায় বলেন, বামেদের ৩৪ বছরের শাসনেও মানুষের ঘরে ঘরে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছয়নি। আর স্বাস্থ্য পরিষেবার আরও বেহাল হাল হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে।
এর আগে মঙ্গলবার মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের নেতা এবং ৫০০ জন কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে তৃণমূল করে আসছি। কিন্তু এখন এই দলটা আর দল নেই, দলটা একটি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।” ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে শাসক দলে এই ভাঙন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কৃষ্ণনগর উত্তরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, "একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এতদিন এটা আমরা বলতাম, এখন রাজ্যের মানুষ বলছে আর প্রমাণও করে দিচ্ছে।”