বছর চোদ্দোর রাহুল দাস কয়েকদিন আগেই কাজ করতে এসেছিল নারায়ণপুরের এই বাজি কারখানায়। সোমবার দুপুরে আগুন লেগে যায় কারখানার ভিতরে। মুহূর্তে দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বেরোতে না পেরে কারখানার ভিতরেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় রাহুলের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক শ্রমিক।
ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় কারখানার মালিক জুলফিকার আলি মণ্ডল। পরে ওই এলাকারই একটি বাড়ি থেকে দত্তপুকুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ,গত কয়েকবছর ধরেই নারায়ণপুর জুড়ে বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা। এর মধ্যে অধিকাংশরই কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। উৎসবের সময় প্রতিটি ঘরে ঘরেই তৈরি হয় বাজি। কিন্তু সবটাই লুকিয়ে, পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে। অভিযোগ, প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে থেকেছে। ফলে বেড়েছে বেআইনি বাজি ব্যবসার রমরমা। এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও হুঁশ ফেরেনি, রাহুলের মৃত্যুই সেই ঘটনার প্রমাণ।