TRENDING:

Neglected Mother: "সম্পত্তির ভাগ পাইনি, তাই মাকে দেখি না!" শীতের রাতে একা কুঁড়েঘরে বৃদ্ধা মা, ছেলে কথায় ক্ষুব্ধ সকলে

Last Updated:

বৃদ্ধার দুই ছেলে, দুই মেয়ে সকলেই বিবাহিত৷ ছেলে বৌমা নাতি-নাতনি নিয়ে একেবারে ভরা সংসার। তবুও বৃদ্ধার ঠাই কুঁড়েঘরে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: মায়ের সঙ্গে ছেলেদের সম্পত্তির বিবাদ! তাই বয়স ৯০ এর দোরগোড়ায় বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই হয়নি দুই ছেলের সংসারে৷ শীতের কনকনে রাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই কুঁড়েঘরে রাত কাটছে বৃদ্ধার। দুই ছেলে থাকা সত্ত্বেও কেন মায়ের হাল বেহাল, উঠছে প্রশ্ন?
advertisement

বৃদ্ধার দুই ছেলে, দুই মেয়ে সকলেই বিবাহিত৷ ছেলে বৌমা নাতি-নাতনি নিয়ে একেবারে ভরা সংসার। তবুও বৃদ্ধার ঠাই কুঁড়েঘরে। অভিযোগ ছেলে ও বউমার বৃদ্ধার দেখাশোনা করে না। বিগত ১০ বছর ধরে একা একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করেছেন ওই বৃদ্ধা। এতদিন হাত পুড়িয়ে নিজেই রান্না করে এসেছেন৷ এখন বয়সের ভারে যবুথবু। এই অমানবিক ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সোনাখালি গ্রামের। বৃদ্ধার নাম নিহারীবালা মাল, বয়স প্রায় ৯০ এর কাছাকাছি। পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি গ্রামের সবাই জানেন ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি ছাড়া করেছে তাঁর ছেলে বউমারা।

advertisement

আরও পড়ুন Viral: অধ্যক্ষের লেটারহেডে লাভ লেটার! কে লিখল প্রেমের চিঠি? কী লেখা তাতে?

ভিটের নিচে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় বানানো একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করেছেন তিনি। কখনও গ্রামের সালিশে সভা, কখনও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ সমস্যার সমাধান হয়নি। অনেকদিন আগেই বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছে। বৃদ্ধার এহেন পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিজের সম্পত্তির এক অংশ বিক্রি করে সেই টাকায় কোনও মতে সংসার চলছে তাঁর, মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য।

advertisement

বৃদ্ধার দেখাশোনার জন্য প্রতিবেশীরাই এক পরিচারিকা জোগাড় করে দিয়েছেন। কেন তাঁকে এভাবে থাকতে হচ্ছে? এ বিষয়ে বৃদ্ধার বড় ছেলে নরোত্তম মাল আমতা আমতা করে বলেন ‘আমি মায়ের কোন সম্পত্তির ভাগ পাইনি, তাই মাকে দেখাশোনা করিনি।’ তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন তার ছোট ভাইয়ের আচরণ নিয়ে৷

আরও পড়ুনDigha Weather Update: বছর শুরুতেই আবহাওয়া ব্যাপক ধামকা! হাওয়া বদলের সম্ভাবনা

advertisement

একই বিষয়ে ছোট ছেলে উত্তম মালের পরিবারের কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রথমে মুখ খুলতে না চাইলেও পরে ছোট বৌমা ঝর্না মাল বলেন যে তাঁর শাশুড়ি তাঁদের কাছে থাকতে চাননি৷ তিনি নিজের ইচ্ছায় একাই থাকেন। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে বৃদ্ধার সম্পত্তি বিক্রির কিছু টাকা(৩৬হাজার) এখনও অ্যাকাউন্টে অবশিষ্ট ছিল। সেই টাকাও ছোট ছেলে তুলে নিয়েছে। পরিবর্তে পরিচারিকা না আসায় খেয়াল খুশি ছোট বউমা তাঁর দেখাশোনা করছে মাঝে মধ্যে। তবে এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও বৃদ্ধাকে একাই একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করতে হচ্ছে। তবুও ছেলেরা কেউই মাকে নিজেদের পাকা বাড়িতে নিয়ে যেতে চান না।

advertisement

দুই ছেলে সোনার কাজ করেন,দুজনেরই স্বচ্ছল অবস্থা, তবুও মায়ের এই পরিণতি। তিনি কোন সরকারি ভাতাও পান না বৃদ্ধা? প্রতিবেশীরা যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃদ্ধার দেখাশোনার দায়িত্ব কার? এই বিষয়ে অনেকবার গ্রাম সভাও বসেছে, থানা পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে তবুও নিজেদের জায়গায় অনর ছেলে বউমারা। এক কথায় বৃদ্ধা মায়ের করুণ পরিণতি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কাজ নেই-র দিন শেষ,ছাদের তলায় বসেই কয়েক হাজার টাকা রোজগার ঘরের বউদের,সংসার চলছে রমরমিয়ে
আরও দেখুন

সুকান্ত চক্রবর্তী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Neglected Mother: "সম্পত্তির ভাগ পাইনি, তাই মাকে দেখি না!" শীতের রাতে একা কুঁড়েঘরে বৃদ্ধা মা, ছেলে কথায় ক্ষুব্ধ সকলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল