গত ২২ জানুয়ারি চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানের জন্ম দেন পান্ডুয়ার, বৈচিগ্রামের সুমন্ত ক্ষেত্রপালের স্ত্রী সুমিতা ক্ষেত্রপাল। তখন সুমিতাদেবীকে চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতার পি.জি.হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
দিন মজুর গরিব দম্পতির আর্থিক ক্ষমতা ছিল না, কলকাতায় যাওয়ার। জন্ম শংসাপত্রের জন্য হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার দারস্থ হয় শিশুর পরিবার। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানদের শংসাপত্র দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা পুরসভার নেই। গত ন’মাস ধরে দিনমজুর পরিবারে হাসপাতাল এবং পুরসভায় অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোনও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালত তৃতীয় লিঙ্গকে মান্যতা দিয়েছে। ভোটাধিকার পেয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তার পরেও পুরসভায় তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানের জন্ম শংসাপত্রের ব্যাবস্থা না থাকা অবাক করছে।
advertisement
পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় জানান পুরসভার কম্পিউটারে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও কলম না থাকায় এই অসুবিধা।যে সফ্টওয়্যারের সাহায্যে জন্মের শংসাপত্রের কাজ হয় সেটা কেন্দ্রের তাই এর পরিবর্তন করাও পুরসভার পক্ষে সম্ভব না। তৃতীয় লিঙ্গের পাশাপাশি রপান্তরকামীদেরও মান্যতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত।পুরসভা ফিরিয়ে দেওয়ায় জন্মের শংসাপত্র কি করে পাবে জানা নেই শিশুটির পরিবারের।