TRENDING:

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শপিং মলের ক্যাশ থেকে লাখ লাখ টাকা গায়েব! জড়িত কারা?

Last Updated:

কোনও দিন আড়াই লাখ টাকার সামগ্রী বিক্রি হলে ব্যাঙ্কে জমা পড়ছিল দেড় লাখ টাকা। এমন গরমিল হচ্ছিল প্রায়ই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Saradindu Ghosh
advertisement

#কাটোয়া: বিক্রি বাটা ভালই চলছিল শপিং মলে। কিন্তু সব টাকা জমা পড়ছিল না ব্যাঙ্কে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল শপিং মল কর্তৃপক্ষ। তাতেই ধরা পড়ল শপিং মলেরই তিন ক্যাশিয়ার। তবে আত্মসাত করা টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে।

কাটোয়া শহরের কাছারি রোডের শপিং মল। করোনার আতঙ্ক ছড়ানোর আগে পর্যন্ত বিক্রি ভালোই চলছিল। কিন্তু টাকার হিসেব মিলছিল না। কোনও দিন আড়াই লাখ টাকার সামগ্রী বিক্রি হলে ব্যাঙ্কে জমা পড়ছিল দেড় লাখ টাকা। এমন গরমিল হচ্ছিল প্রায়ই। সন্দেহ হওয়ায় কাটোয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন শপিং মলের ম্যানেজার সৈকত দাস। তিনি পুলিশের কাছে সব জানান। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে কাটোয়া থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে ঘটনায় জড়িত শপিং মলের কর্মীরাই। সব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের পর তিন ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নয় লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাটোয়া কাছারি রোডের ওই মলে টাকা সরানোর অভিযোগে সংস্থার তিন ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। ধৃত অপূর্ব গোস্বামী, সন্দীপ মহান্ত ও স্বরূপ হরিজনকে এ দিন কাটোয়া শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের এখন বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাছারি রোডের মলের অভিযুক্ত তিন ক্যাশিয়ার গত একমাস ধরে  কয়েক দফায় ৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা  ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নাম করে তছরূপ করেছে।  সংস্থার ম্যানেজার সৈকত দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিন অভিযুক্তকে কাটোয়া শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কোনও টাকা উদ্ধার করা যায় নি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চা বিক্রির টাকায় তিন বছরে ৬৯ হাজার কয়েন! মেয়ের জন্য স্কুটি কিনে চমকে দিলেন বাবা
আরও দেখুন

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা একসঙ্গে আগাম পরিকল্পনা করেই এই টাকা সরানোর কাজ চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। ওই টাকা তারা কোথায় সরিয়েছে তাও জানার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে তাদের ও তাদের নিকট আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে। শপিং মলের সি সি টিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শপিং মলের ক্যাশ থেকে লাখ লাখ টাকা গায়েব! জড়িত কারা?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল