তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর বক্তব্য, এই সমবায় সমিতি হিসেব পেশ করছিল না। রেজুলেশন ছাড়াই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। কৃষকদের কোনও ভাবেই যুক্ত করা হয় না। স্বচ্ছতারও অভাব থাকায় কৃষকরা সেসব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
যদিও ওই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এই সমিতির কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছে। আট সদস্যের পদত্যাগ তারই জের। আলু চাষের মুখে এই অচলাবস্থায় কৃষকরা সমস্যার মধ্যে পড়বেন বলে মনে করছেন তারা।
advertisement
পদত্যাগ করা সদস্যরা বলছেন, ২০১৯ সালে নির্বাচনে জিতে আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম। তখন সমবায় সমিতির তহবিলে তিন লক্ষ টাকা লভ্যাংশ ছিল। তা আজ বাইশ লক্ষ টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। জামাড় সমবায় সমিতি মির্জাপুরে আরেকটি শাখা খুলেছে। এত সাফল্য সত্ত্বেও যুব নেতাদের বারংবার বাধা, দুর্ব্যবহারে বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের পর মেলেনি স্ত্রীর মর্যাদা, স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় মহিলা
এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান এক ব্লকের সভাপতি কাকলি গুপ্ত তা বলেন, এখানে হিসেব মেলেনা। এটা একটা বড় সমস্যা। স্বচ্ছতা থাকলে হিসেব পেশ করতে আপত্তি কোথায়? তাছাড়া সকলের মতামত নিয়ে বোর্ড তৈরি করা হয়নি। ঘরে বসে কমিটি গঠন করে নেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তার জেরেই এই ঘটনা। কৃষকরা সমবায় দপ্তরে এই সমবায় সমিতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল। তার মানে এই নয় যে সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। এর সঙ্গে রাজনীতি টেনে এনে অন্যদিকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh