পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ থানার ঘাসিপুর এলাকার দিন ১৫ আগে তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক ইন্নাজুল সেখ, হামিদুল সেখ, রাব্বুল ইসলাম ভিন রাজ্যে ওড়িশায় জগৎসিংপুর জেলার বালিগুদা থানা এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে যায়। সেখানে ওড়িশা পুলিশ দৌলাতাবাদ থানার ঘাসিপুর এলাকার তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় কথা বলার কারণে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে আটক করে। এই বিষয়ে খবর পাওয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওড়িশায় ওই থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
advertisement
জেলা পুলিশ ও দৌলতাবাদ থানার ওসি উদয় ঘোষের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়। ওড়িশা পুলিশ কর্তৃক নথিগুলোর যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার পর প্রমাণিত হয় যে আটক ব্যক্তিরা ভারতীয় নাগরিক। এর পরই ওড়িশা পুলিশ তাঁদের মুক্তি দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেন পুলিশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলার বালিগুদা থানার অন্তর্গত এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার ধরমপুর অঞ্চলের তরতিপুর গ্রামের তিন পরিযায়ী শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম, হাসিবুল সেখ ও সাইনুর ইসলাম। দিন ১৫ আগে তারাও রোজগারের খোঁজে ওড়িশায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার পুলিশের হাতে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে আটক হওয়ার খবর মেলে তাঁদের পরিবারের কাছে। অভিযোগ, কোন যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই তাঁদের আটক করে রাখা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পরিবারের আতঙ্ক চরমে পৌঁছায়। অবশেষে সমস্ত প্রশাসনিক প্রচেষ্টায় নিজের ঘরে ফিরলেন রাকিবুল, হাসিবুল ও সাইনুর। প্রায় ১৫ দিন পর সন্তানদের ফিরে পেয়ে আবেগে ভেসে পড়েন পরিবার-পরিজনরা।
কৌশিক অধিকারী