TRENDING:

চোঙদার বাড়ির শাকম্বরি দুর্গা, পুজোর বয়স চারশ বছর

Last Updated:

পদবী ছিল চট্টোপাধ্যায়। হয়ে গেল চোঙদার। বাশের চোঙে রাজস্ব আসত যে। তালপাতার ছাউনি থেকে ঠাকুর দালানে এই পুজোর ইতিহাস রূপকথার মতো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: পদবী ছিল চট্টোপাধ্যায়। হয়ে গেল চোঙদার। বাশের চোঙে রাজস্ব আসত যে। তালপাতার ছাউনি থেকে ঠাকুর দালানে এই পুজোর ইতিহাস রূপকথার মতো। ৪০০ বছর পেরিয়ে আজও চোঙদারের দুর্গাপুজোর রমরমা সুবিদিত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলবলা কমেছে। তবে আনন্দে ভাটা পড়েনি।
advertisement

কেমন যেন থমকে যেতে হয় বাড়ির সামনে এলে। একের পর এক ছবি মনে ভিড় করে। সত্যিই এই বাড়ির পুজোয় রমরমা হবে না তো আর কোন বাড়িতে হবে। একটা সময় সাতটা গ্রামের প্রজা অংশ নিতেন পুজোয়। যাত্রা, পালাগান কীই না হত। কিন্তু বড় জীর্ণ অবস্থা বাড়ির। আর্থিক অনটনে খসে গেছে পলেস্তারা। বহুদিন সংস্কার নেই নাটমন্দিরের।

advertisement

কিন্তু একটা তো সময় ছিল, যখন চতুর্ভুজ চোঙদার এই পুজোকে গোটা বাংলায় পরিচিত করেছিলেন। চট্টগ্রামের চ্যাটার্জিরা চোঙদার হলেন কিন্তু নিখাদ ব্যবসার কারণে। বাঁশের চোঙে রাজস্ব পাঠাতেন বলে। প্রথমে পুজো শুরু হয়েছিল তালপাতার ছাউনিতে। তারপর বিশাল দুর্গাদালানে পুজো শুরু হল ঘটা করে।

একবার পুজোয় সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন চতুর্ভুজ চোঙদার। বুঝতে পারেন চলে যাওয়ার সময় এসেছে। সেই কথা জানান স্ত্রীকে। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। দু-জনের ইচ্ছামৃত্যু হয়। তবে তাঁদের দাহ না করে এই ঠাকুরদালানে সমাধিস্থ করা হয়। তাই আজও পুজোর সপ্তমীতে সমাধি স্থলে হোমকুন্ড জ্বালানো হয়, যা নেভে দশমীতে।

advertisement

চোঙদার বাড়ির পুজো হয় শাক্তমতে। তাই সরস্বতীর রং নীল। এখানে দেবীর আবাহন আছে, বিসর্জন নেই। প্রতিমা বিসর্জন হলেও সারা বছর দেবীর ঘট রেখে পুজো করা হয়। এই দুর্গাকে শাকম্বরী দুর্গাও বলা হয় তাই বোধনের পর এ বাড়িতে শাক, বড়ি টক খাওয়া নিষিদ্ধ।

চোঙদার বাড়ির পুজোর যাবতীয় কাজ করেন পুরুষরাই। অন্দরমহলে অন্নভোগ রাঁধেন মহিলারা।প্রতিদিন একান্নটা পাত্রে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

অতীতের এই রমরমা আজ অনেকটাই ফিকে। কিন্তু ভক্তি ও আনন্দ কোনওটাই বিন্দুমাত্র কমেনি। তাই প্রতিবছর চোঙদার বাড়ির পুজোয় কটা দিন প্রাণ ফিরে পায় দুর্গাদালান।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
চোঙদার বাড়ির শাকম্বরি দুর্গা, পুজোর বয়স চারশ বছর