রাস্তা নেই। বিদ্যুৎ নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ তো দুরস্ত গ্রামে নেই কোনও সরকারি নলকূপ। শুধু পরিকাঠামোর দিক থেকেই নয় সরকারি পরিসেবাও এখানে বড়ই দুর্লভ। জব কার্ড আছে কিন্তু কাজ নেই। বাংলার আবাস যোজনায় একটি বাড়িও তৈরি হয়নি। নিয়ম মোতাবেক পঞ্চায়েতে টাকা জমা করলেও নির্মল বাংলা প্রকল্পে তৈরি হয়নি একটিও শৌচালয়। জমিতে চাষবাস করলেও সে জমির পাট্টা নেই। নেই কিষান ক্রেডিট কার্ড। নেই কৃষক বন্ধুর প্রকল্পের কোনও সুযোগ। সবমিলিয়ে বাঁকুড়ার সোনাইচণ্ডীপুর প্রকৃত অর্থেই এক নেই রাজ্য।
advertisement
পাওয়া বলতে বছর দুয়েক আগে এই গ্রামে বসবাসকারী প্রায় চল্লিশটি পরিবার ভোটাধিকার পেয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সেই অধিকার প্রথম বারের জন্য প্রয়োগও করেছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের অংশীদার হয়ে এবার তাঁদের দুঃখ ঘুচবে। কিন্তু সে সাধ আর পূরণ হয়নি সোনাইচণ্ডীপুর গ্রামের মানুষের। গ্রামের মাঝে একটি কমিউনিটি হল আর একটি আইসিডিএস কেন্দ্র ছাড়া প্রাপ্যের খাতা থেকে গিয়েছে শূন্যই। নিজেদের অধিকারের জন্য গ্রামের মানুষ বারবার দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা শাসক এমন কি মূখ্যমন্ত্রীর দফতরে। কিন্তু প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। তাই নিজ ভূমে পরবাসী হয়েই দিন যাপন করে চলেছেন সোনাইচণ্ডীপুর গ্রামের চল্লিশটি কৃষিজীবী পরিবার।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আস্বাস দিয়েছেন। তাঁর দাবি দামোদরের চরে থাকা ওই গ্রামের অবস্থানগত সমস্যার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আস্বাস দিয়েছেন।
Mritunjoy Das