#টাকি: উত্তর ২৪ পরগনার টাকি জমিদার বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষ জমিদার বাড়ি । এ বার এই ঘোষ জমিদার বাড়ির পুজো ৩৫১ বছরে পদার্পণ করেছে । জমিদার হরিনারায়ন ঘোষ এই পূজার সূচনা করেছিলেন । এ বছরও পুজো হবে, তবে করোনার কারণে কিছু সরকারি বিধি-নিষেধকে প্রাধান্য দিয়ে । জমিদার বাড়িতে ঢোকার সময় গেটে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে । সকল দর্শনার্থীদের মাস্ক পড়ে ঢোকা বাধ্যতামূলক । পুজোয় অঞ্জলি দেওয়া হবে ফাঁকা ফাঁকা ভাবে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে। এমনকি বিসর্জনের দিন মায়ের বরণ এবং সিঁদুর খেলা হবে সোশ্যাল ডিসটেন্সকে প্রাধান্য দিয়ে ।
advertisement
এখানে রথের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর রীতি রেওয়াজ । ওই দিন প্রথা মেনে ঠাকুরদালানেই কাঠামো পুজো হয় এবং সেই কাঠাম থেকেই কাঠ চেচে রেখে দেওয়া হয় সেই চাচা কাঠ নবমী পূজার দিন হোমের মধ্যে দেওয়া হয় । চাল কুমড়ো ও আখ বলি দেওয়া হয় । বিসর্জনের দিন বাড়ির মহিলারা সকলে মিলে মায়ের বরণ এবং সিঁদুর খেলার প্রথা আজও বহন করে আসছে এবং আজও ইছামতি নদীর ঘাটে প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিসর্জনের জন্য । প্রতিবছর পুজোর এই ক’টা দিন আত্মীয়-স্বজন যে যেখানেই থাকুক সকলেই চলে আসেন তাঁদের জমিদার বাড়িতে এবং সকলেই একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন এই ঘোষ বাড়িতে ।একবার পুজোর সময় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই ঘোষ বাড়ি পুজোতে এসেছিলেন । বাড়ির মহিলারা তাঁকে চন্দনের ফোটা, ফুল এবং শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন ।