TRENDING:

মূর্তির বয়স ২ হাজার ! ৩০০ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের মাদুর্গা

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান: ইতিহাস বলছে,বয়স প্রায় দু হাজার বছর। তবু ক্ষয় নেই। যদিও শরীরে লেপা অবোধ্য লিপি আজও অনাবিষ্কৃত। রাঢ়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী সেই দেবী সর্বমঙ্গলার হাত ধরে দুর্গাপুজো জমজমাট বর্ধমানে। মূর্তির বয়স যাই হোক, পুজো শুরু হয় তিনশো বছর আগে। বর্ধমান রাজার হাত ধরে।
advertisement

কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা। দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। সিংহবাহিনী, অসুরদলনী দুর্গাই সর্বমঙ্গলা রূপে পূজিতা। সর্বমঙ্গলার মূর্তি ঘিরে নানা গল্প, মিথ।

কথিত আছে, বর্ধমানের বাহির সর্বমঙ্গলা অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের জালে ওঠে অদ্ভূত দর্শন এক পাথর। কিছুটা শিলার মত দেখতে পাথর দিয়েই থেঁতো করা হত গুগলি, শামুক। সেই শিলা যে আদতে মূর্তি, বুঝতে পারেন স্থানীয় এক পুরোহিত। নবরত্ন মন্দির তৈরি করে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন। পুজোর ভার বর্তায় বেগুর ও রায়ান গ্রামের ব্রাহ্মণদের উপর। আজও সেই ট্রাডিশন অব্যাহত ।

advertisement

তিনশো পয়ষট্টি দিন সর্বমঙ্গলার জন্য রাজকীয় আয়োজন। ভোরে গঙ্গাজলে হাত-পা-মুখ ধুইয়ে সুগন্ধি তেল,শ্বেত ও রক্ত চন্দনে রাঙিয়ে শরবতে আপ্যায়ন। তারপর রাজবেশ ও দামী গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয় সিংহাসনে। পুজো, মঙ্গলারতির মাঝেই চারবেলা ভোগ। দুপুরে পুষ্পান্ন, পরমান্ন, ডাল, শুক্তো, তরকারি থেকে মাগুর মাছের টক। পান খেয়ে দিবানিদ্রা। সন্ধেবেলা শীতলভোগ। রাতে লুচি,মিষ্টি।

advertisement

পুজোয় আড়ম্বর দ্বিগুণ। প্রতিপদে বর্ধমানের কৃষ্ণসায়র থেকে রুপোর ঘটে জল ভরে পুজো শুরু। নবমীতে কুমারীপুজো। দশমীতে অপরাজিতা পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ। আজও সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজোর নির্ঘণ্টা মেনে পুজো হয় এলাকার।

পুজোয় ভোগের ছড়াছড়ি। চারবেলাই এলাহি আয়োজন। উৎসবের টানে লক্ষ ভক্তের ভিড়ে জমে ওঠে সর্বমঙ্গলার দালান।

নিউজ 18 বাংলা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মূর্তির বয়স ২ হাজার ! ৩০০ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের মাদুর্গা