এই চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীই ভোটের মুখে প্রার্থী ঘোষণার আগে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন ভোটে লড়াই না করার। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আচমকাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে চাই। দলনেত্রীকে বলেছি, এবার আমায় অব্যাহতি দিন। আমি নিজের জগতে ফিরে যেতে চাই।'
advertisement
ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার পর তাঁকে একেবারেই ভোটের ময়দানে দেখা না যাওয়ায় অনেকে ভেবেছিলেন, তবে হয়তো এবার আর ভোটে দাঁড়াবেন না চিরঞ্জিৎ। তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবিও করেছিলেন, 'আমি প্রথম থেকেই রাজনীতির বাইরের লোক। আমি সিনেমা-টিনেমা করি। রাজনীতি আমার কাপ অফ টি নয়। সেটা প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম। কিন্তু ২০১১-র সেই সময় ১৪৮টি সিটের দরকার ছিল সরকার গঠনের জন্য। তখন তিনিই জোর করে আমাকে দাঁড়াতে বলেছিলেন।'
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সবকে খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে ফের একবার চিরঞ্জিতের উপরই ভরসা রেখেছিলেন। এবং সেই ভরসা ফিরিয়েও দিয়েছেন অভিনেতা-তারকা প্রার্থী। করোনা টিকা নিয়ে আগেভাগেই নির্বাচনী প্রচারে ময়দানে নামতে প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিলেন চিরঞ্জিৎ। তৃণমূলের তরফে বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করতেই, পরদিন সকালে তাঁকে তড়িঘড়ি হাজির হতে দেখা যায় নিজস্ব কেন্দ্রে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, বারাসত কেন্দ্র থেকে তিনি যে এবারেও জিতছেন, সেই বিষয়ে একেবারে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন চিরঞ্জিৎ।
